লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
পেজ সূচিপত্র: লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা
- লেবু খাওয়ার উপকারিতা সমূহ
- লেবুতে যেসব পুস্টি উপাদান রয়েছে
- লেবু খাবার অপকারিতা সমূহ
- প্রতিদিন কতটা লেবু খাওয়া উপকার
- ওজন কমাতে লেবুর ভূমিকা
- লেবুর খোসা খাওয়ার উপকারিতা
- ত্বকের যত্নে লেবুর উপকারিতা
- চুলের যত্নে লেবুর ব্যবহার
- শেষ কথা: লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা
লেবু খাওয়ার উপকারিতা
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও উপাদান থাকাইলে লেবুর উপকারিতা অনেক। লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় এটি আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে রক্তে কোলেস্টেরল মাত্রা কমায় এমনকি ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকেন তাই বলা যায় লেবুর উপকারিতা অনেক আসন লেবুর উপকারিতা গুলো জেনে নেয়া যাক
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে : লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে আর এই ভিটামিন সি মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে। আপনারা প্রতিদিন অন্তত একটি করে লেবু খান তাহলে আপনাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বেড়ে যাবে। ফলে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণের হাত থেকে সহজে রক্ষা পাবেন।
আরো পড়ুন: পেঁপের উপকারিতা ও অপকারিতা
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়: আপনি যদি প্রতিদিন লেবু খাবার অভ্যাস করেন তাহলে আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করবে। জার্নাল অফ চিরপ্রান্তিক মেডিসিন দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণা অনুসারে ভিটামিন সি এল ডি এল বা ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। ও। তাই আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্র কমানোর জন্য নিয়মিত লেবু খাওয়ার অভ্যাস করুন।
হজমে সাহায্য করে : লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে লেবু দ্রুত হজমে সাহায্য করে থাকে। ফলে মলত্যাগ সহজ হয়,পাকস্থলী পরিষ্কার হয় এবং পেটের বিভিন্ন সমস্যা থেকে সহজে রেহাই পাওয়া যায়। তাই যাদের হজমে সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত লেবুর রস খেতে পারেন।
ওজন কমাতে সাহায্য করে : লেবুতর আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং প্রচুর পরিমাণে জলে দ্রবণীয় প্র্যাক্টিন জাতীয় উপাদান। সে কারণে আপনি প্রতিদিন লেবু জল পান করলে আপনার অল্প খেলেই পেট ভরা ভরা অনুভূত হবে এবং আপনার খোদা কম লাগবে। যার ফলে আপনার খাবারের পরিমাণও কমে যাবে যা আপনার ওজন কমানোর জন্য অনেক সহায়ক হবে।
কিডনির পাথর প্রতিরোধ করে : লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক এসিড যা কিডনিতে পাথর তৈরি হতে বাধা দেই, আর যদিও বা পাথর তৈরি হয়ে যায় তাহলে সেটাকে ভেঙে দিয়ে মুত্রের মাধ্যমে শরীরের বাইরে বের করে দিতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত লেবু খেলে কিডনিতে পাথর হওয়া সম্ভব না অনেকটাই কমে যায়।
শরীরের জলের ভারসাম্য বজায় রাখে: আমাদের শরীরকে সুস্থ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে গেলে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া উচিত এটা আপনারা অনেকেই জানেন। কিন্তু জেনেও দেখা যাচ্ছে অনেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি গ্রহণ করছেন না অনেকে আবার পানির সেই রকম স্বাদ না থাকার কারণে বেশি পরিমাণে পানি গ্রহণ করতে পারেন না। তাই সেই জলের সাথে যদি আপনি সামান্য পরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে খান তাহলে পানির স্বাদটাও বেড়ে যাবে এবং অতিরিক্ত পরিমাণে পানিও খেতে অসুবিধা হবে না।
ফলে শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় থাকবে আর লেবুর উপকারী গুণগুলো সহজে আপনি পেয়ে যাবেন।
রক্তস্বল্পতায় রোধ করে: লেবুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে এর পাশাপাশি কিছু পরিমাণে আয়রন রয়েছে। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি আমাদের শরীরের অন্যান্য খাবারগুলো থেকে আয়রন শোষণ করে আর এই শোষিত আয়রন ও লেবুতে থাকা আয়রন রক্তের লোহিত কণিকা তৈরিতে সাহায্য করে থাকেন ফলে শরীরে রক্তের অভাব হয় না। এভাবে লেবুর রক্ত স্বল্পতা রোধ করতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে
হার্ট ও ব্রেন সুস্থ রাখে : লেবু হার্ট ও প্যান্ট সুস্থ রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। লেবুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি এর পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও খনিজ থাকে যা আপনাদের হার্ট ও ফ্রেন্ড কে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে এবং এটি হার্ট ও ব্রেনের কার্যকারিতা ও সঠিকভাবে চলতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে : লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এর পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আর এই ফাইবার হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। ফলে মলত্যাগ সহজ হয় পাকস্থলী পরিষ্কার থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা সহজে দূর করা যায়।
খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে : লেবু রয়েছে বিশেষ সাধ ও গন্ধ যা অন্যান্য খাবার কে আরো সুস্বাদু করে তোলে। তাই এটি যে কোন খাবারের স্বাদ ভালো না হলেও যদি সামান্য পরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে নেওয়া যায় তাহলে সে খাবারের স্বাদও বেড়ে যায় আবার খাবারটি খেতেও অনেক সুস্বাদু লাগে। তাই আপনি চাইলেই যে কোন খাবারের সাথেই একটু হলেও রস মিশিয়ে নিতে পারেন।
সর্দি কাশি দূর করতে : লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। শুধু তাই নয় আমাদের শরীরে দেখা যায় অনেক সময় সর্দি কাশি সমস্যা দেখা দেয় তখন হালকা কুসুম গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে নিয়মিত খেলে সর্দি ও কাশি দ্রুত সেরে যায়।
ত্বক সুন্দর রাখে: লেবু ত্বক সুন্দর রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকেন লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রক্ত পরিষ্কার রাখে এবং রক্ত থেকে খারাপ অভিশাপ ্ত রাসায়নিক পদার্থগুলোকে বাইরে বের করে দিতে সাহায্য করে থাকে। যার ফলে ত্বক হয়ে ওঠে সুন্দর এবং উজ্জ্বল। তাই ত্বক ভালো রাখার জন্য আপনার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় লেবু রাখতে পারেন।
লেবুতে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে
লেবু খাওয়ার উপকারিতা অনেক কেননা লেবুতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে। হারে লেবুর মধ্যে কি কি পোস্টে উপাদান রয়েছে তা আমরা অনেকেই জানিনা না জানার কারণে আমরা অনেকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি না যার কারণে এর উপকারিতা আমরা বুঝতে পারি না। তাই আমাদের জানতে হবে লেবুতে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক লেবুতে কি কি পুষ্টি উপাদান আছে
প্রতি ১০০ গ্রাম লেবুর লেবুর রসে যেসব উপাদান গুলি রয়েছে সেগুলো হল :
- ক্যালোরি থাকে ২৯
- ওয়াটা ৮৯%
- প্রোটিন ১.১ গ্রাম
- সুগার 2.5 গ্রাম
- ভাইবার ২.৮ গ্রাম
- ফ্যাট ০.৩ গ্রাম
- ভিটামিন সি
- ভিটামিন বি ৬
- পটাশিয়াম ১৩৮ মিলিগ্রাম
- সাইট্রিক এসিড
- ম্যাগনেসিয়াম
লেবু খাবার অপকারিতা সমূহ
- লেবু আপনারা সরাসরি খাবেন না কারণ সরাসরি লেবু খেলে আপনাদের দাঁতের সমস্যা হতে পারে। লেবু খাবারের সাথে মিশিয়ে অথবা হালকা গরম জলের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। লেবুতে থাকে সাইট্রিক এসিড এটি সরাসরি খেলে আপনার দাঁতের সংস্পর্শে এসে এটি দাঁতের এনামেল কে নষ্ট করতে পারে ফলে দাঁতের ক্ষয় হতে শুরু করে।
- যাদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে তারা নেব না খাওয়াই ভালো কারণ দেখা যায় যে যাদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে তারা লেবু খেলে সেই সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারেন তাই তাদের লেবু না খাওয়াই ভালো
- বেশি পরিমাণে লেবু পান করবেন না বেশি পরিমাণে লেবু পান করলে আপনার ঘন ঘন প্রসব হতে পারে। আর ঘনঘন প্রসবের ফলে মুক্তির মাধ্যমে আপনার শরীর থেকে খনিজ লবণ বেরিয়ে যেতে পারে। তাই লেবুর উপকারিতা পেতে হলে পরিমাণ মতো লেবু পান করুন।
- অনেকেই আছেন যারা ওজন কমানোর জন্য খাদ্য ভাসে পরিবর্তন আনে বা নিয়মিত হারে প্রচুর পরিমাণে লেবু পান করেন। এতে করে আপনাদের কার্বোহাইড্রেটের ও অন্যান্য পুষ্টিগুণের অভাব দেখা দিতে পারে সে ক্ষেত্রে আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে লেবু পানি পান করেন তাহলে আপনার শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
- অতিরিক্ত লেবু বা লেবু শরবত পান করলে আপনার পেটে বা তলপেটে ব্যাথা করতে পারে। তাই বেশি পরিমাণে লেবু পান করা থেকে বিরত থাকুন।
প্রতিদিন কতটা লেবু খাওয়া উপকার
প্রতিদিন কতটা লেবু খাওয়া দরকার তা আমাদের সকলেরই জানা উচিত। আমরা না জেনে অনেকে বেশি পরিমাণে খেয়ে থাকি আবারো অনেকে কম পরিমাণে খেয়ে থাকি। কিন্তু আসলে আমাদের কতটা লেবু খাওয়া দরকার তা সকলেরই জানা উচিত। প্রতিদিন আমাদের দুই থেকে তিনটি লেবু খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
অন্যান্য খাবারের মত এই সাইট্রাস ফলটিও পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত। এটি বেশি পরিমাণে খেলে স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হতে পারে তাই সকলের পরিমাণমতো খাওয়া উচিত।
প্যান আফ্রিকান মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে,অতিরিক্ত
লেবু খেলে এর উচ্চ মাত্রার সাইট্রিক অ্যাসিডের কারনে এনামেল ক্ষয় হয়ে যেতে
পারে।এছাড়া লেবুতে টাইরামিন ও থাকে যা মাইগ্রেনের রোগীর ক্ষেত্রে মাথা ব্যাথার
কারণ হতে পারে বলে বলে ধারনা করা হয়।
ওজন কমাতে লেবুর ভূমিকা
বর্তমান সময়ে অনেকেই শরীরে ওজন নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন। আর এই ওজন বিভিন্ন কারণে আপনার শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে। সবাই চান কম সময়ে এবং সহজ পদ্ধতিতে কিভাবে শরীরের ওজন কমানো যায়। সে ক্ষেত্রে সকলের কাছে অতি পরিচিত একটি পদ্ধতি হলো কুসং গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পান করা। কিন্তু এই পদ্ধতিতে লেবুর রস পান করলে আসলে কি শরীরের ওজন কমে। চলুন জেনে নেয়া যাক ।
আরো পড়ুন: রামবুটান ফলের পুষ্টিগুণ এবং এর উপকারিতা
এ বিষয়ে পুষ্টিবিদরা জানান যে, ওজন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপন করা উচিত কেউ যদি মনে করেন যে শুধু লেবু পানি খেয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ করবেন তাহলে সেটা কিন্তু সম্ভব নয়। প্রতিদিন সুষম খাবার পর্যাপ্ত ঘুম ব্যায়াম করা ইত্যাদি বিষয়গুলো মেনে চলার পাশাপাশি লেবু পানি পান করলে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
পুষ্টিবিদ শরিফা আক্তার স্বাম্মী বলেন যে, আমাদের প্রায় অনেকেরই সকালে ঘুম থেকে উঠে চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। এক্ষেত্রে যারা ওজন কমাতে চান তারা সকালে ঘুম থেকে উঠে চা বা কফির পরিবর্তন কুসুম গরম পানির সাথে লেবু পানি পান করতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরের বিপাকীয় হার বাড়ায় এবং খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে। আবার আপনি যদি খালি পেটে লেবু পান করেন তাহলে তুলনামূলক আপনার খুধা কম লাগবে এবং খাবারের পরিমাণও কমে যাবে।এভাবে লেবু পানি পান করলে আপনার শরীরে কম ক্যালোরি প্রবেশ করবে এছাড়া লেবু পানি পান করার পর ব্যায়াম করলে ক্যালোরি ক্ষয়ের পরিমাণ বাড়ে ফলে দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই আপনি আপনার শরীরের ওজন কমাতে চাইলে নিয়মিত লেবু পান করতে পারেন ফলে আপনার তৃষ্ণাও মিটবে এবং শরীরে ক্যালরি ও কম প্রবেশ করবে।
লেবুর খোসা খাওয়ার উপকারিতা
লেবুর উপকারিতা এবং এর পুষ্টি গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা অনেকেই এখনো জানিনা। লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি ছাড়াও আরো অনেক পুষ্টি গুনাগুন রয়েছে লেবুতে। গবেষণায় দেখা যায় যে, লেবুর রস এবং খোসা দুটি সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। লেবুর রস খেলে যেমন এর অনেক উপকারিতা পাওয়া যায় তেমনি এর খোসা খেলেও এর অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক লেবুর খোসা খাওয়ার উপকারিতা:
- লেবুর খোসায় ভিটামিন সি ও সাইট্রিক এসিড থাকে যা দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, দাঁতের মাড়ি ফোলা সহ একাধিক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে লেবুর খোসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লেবুর খোসায় এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বক থেকে টক্সিক বের করে দেই। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় ।
- লেবুর খোসা পরিমাণে সাইট্রাস বায়োফ্লেভনয়েড থাকে যা স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে থাকে।
- নিয়মিত লেবুর খোসা খেলে শরীরের সাইট্রিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে কিডনিতে পাথর হওযার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
- লেবুর খোসায় সয়ালভেস্টল কিউ ৪০ ও লিমোন্যান্স থাকে যা ক্যান্সারে কোষ ধ্বংস করে, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক সংক্রমনের প্রভাব কমাতে সাহায্য করেন।
- লেবুর খোসায় প্রাক্টিন নামক একটা উপাদান থাকে এটি শরীরের ফোয়াট বার্ন করে।
ত্বকের যত্নে লেবুর উপকারিতা
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে যার জন্য লেবুর উপকারিতা অনেক আর এর উপকারিতার মধ্যে অন্যতম আরেকটা উপকারিতা হচ্ছে ত্বকের যত্নে লেবুর ব্যবহার। লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা ত্বকের কালো দাগ এবং ত্বকের তৈলাক্ততা ভাব দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকে শুধু লেবুর রসই নয় এর সাথে কিছু উপাদান মিশে নিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
পরিমাণ মতো লেবুর রস এবং এর সাথে পরিমাণ মতো মধু ভালোভাবে মিশিয়ে নিন এই মিশ্রণটি ত্বকে ব্যবহার করুন এবং এই মিশ্রণটি শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ব্যবহার করলে দেখবেন আপনার ত্বক উজ্জ্বল এবং ফর্সা হয়ে গেছে।
চুলের যত্নে লেবুর ব্যবহার
লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড যা চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য খুবই উপকারী। তাহলে চুলের বিভিন্ন সমস্যার জন্য ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে লেবুর রস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। লেবুর রস খুশকি দূর করতে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী অবদান। গোসল করার আধা ঘন্টা আগে মাথার তালুতে লেবুর রস মাখিয়ে আধা ঘন্টা অপেক্ষা করুন তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন দেখবেন আপনার মাথার খুশকি সহজে দূর হয়ে যাচ্ছে।
নারিকেল তেলের সাথে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে মাথা ধুয়ে ফেলুন তাহলে দেখবেন আপনার চুল দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরো পড়ুন: মুখে কাঁচা হলুদের ব্যবহার
আবার লেবুর রস চুল পরিষ্কার করতেও দারুণভাবে সাহায্য করে। চুল পরিষ্কার করার জন্য আপনাকে এক চা চামচ বেকিং সোডা সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে পাতলা একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন এবার চুলে ও মাথার তালুতে নিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। এরপর কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু করে ধরে ফেলুন। দেখবেন এটি আপনার চুল এবং ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করছে।
শেষ কথা: লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা
আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারলেন লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে, লেবুর পুষ্টিগুনাগুন সম্পর্কে, ওজন কমাতে লেবুর ভূমিকা, ত্বকের যত্নে লেবুর ব্যবহার ,চুলের যত্নের লেবুর ব্যবহার সম্পর্কে। আশা করি লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন। নিয়মিত লেবু খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়।
শুধু তাই নয় লেবু নিয়মিত খেলে হজম শক্তি বেড়ে যায়, হার্ট ভালো থাকে, ত্বক ভালো থাকে, চুল এবং মাথার বিভিন্ন সমস্যা সহজে দূর করা যায়। এজন্য বলা হয় যে লেবুর উপকারিতা অনেক।
আশা করছি আজকের এই আর্টিকেল টি পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন এবং আজকের পোস্টটি সম্পর্কে যদি আপনাদের কোন কিছু জানার থাকে বা কোন মতামত থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। আর এই ধরনের পোস্ট নিয়মিত পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন এবং নিয়মিত ভিজিট করুন এবং ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।
রয়েল; আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url