ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগে-ভিসা আবেদনের নিয়ম ২০২৪

আমরা অনেকেই বিভিন্ন কারণে দেশের বিদেশে যেয়ে থাকি তাদের জন্য তাদের জন্য ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগে ভিসা আবেদনের নিয়ম ২০১৪ সম্পর্কে জানা খুব জরুরি। কারণ আপনি এসব বিষয়ে না জেনে থাকলে বিদেশ যাওয়া আপনার জন্য একটা কঠিন হয়ে যাবে। 

আমরা বিভিন্ন কারণে বিদেশে যে থাকি আর এই বিদেশ যে যে কারণে যেয়ে থাকি সে সেই কারণে ভিসা তৈরি করা হয় যেমন কাজের ভিসা ভ্রমণ ভিসা ব্যবসা ভিসা স্টুডেন্ট ভিসা গৃহকর্মী ভিসা এক্সচেঞ্জ ভিজিট ভিসা মেডিকেল ভিসা সাংবাদিকতা ভিসা ইত্যাদি বিভিন্ন ভিসা করতে হয়। আর এই জন্য আমাদের অনেক কিছু প্রয়োজন লাগে এবং অনেক নিয়ম কানুন মেনে কাজ করতে হয়। চলুন সে সম্পর্কে  বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক

পেজসূচিপত্র: ভিসা আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয়  কাগজপত্র সমূহ

ভিসা আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ: 

ভিসা আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় যে সকল কাগজপথেই প্রয়োজন সেগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো। ভিসা আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো হলো 

  • ভিসা আবেদন করার জন্য দুই কবি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি 
  • পাসপোর্ট 
  • আবেদনপত্র পূরণ করে দিতে হবে 
  • ভিসা আবেদন করার জন্য নির্ধারিত
  • ভিসা আবেদন করার জন্য ব্যাংক সলভেন্সি ও ব্যাংক বিবরণী সংযুক্ত করতে হবে 
  • কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনার সম্পদের বিবরণী ও সংযুক্ত করতে হয় 
  • ব্যবসা-বাণিজ্য ঘরে থাকলে ব্যবসা-বাণিজ্যের কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে 
  • চাকরি করে থাকলে চাকরির ছুটির লেটার পত্র সংযুক্ত করতে হয় 

সাধারণত ভিসা আবেদন করার জন্য উপরে উল্লেখিত কাগজপত্রগুলো প্রয়োজন হয়ে থাকে। এছাড়াও আপনি যে দেশে যাবেন সেই দেশের ওপর ভিত্তি করে এসব কাগজপত্র ছাড়া আর অতিরিক্ত কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন লাগতে পারে। সেভাবে কাজ করতে হবে। 

ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে: 

ভিসা পেতে বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় লাগে থাকেন চলুন দেখে নেওয়া যাক ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে 

সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য সিঙ্গাপুরের টুরিস্ট ভিসা পেতে ১৫ থেকে ৩০ দিন সময় লাগে 

ইন্ডিয়া ট্যুরিস্ট ভিসা এতে ৭ থেকে ২১ দিন সময় লাগে 

থাইল্যান্ডে যাওয়ার জন্য থাইল্যান্ডের টুরিস্ট ভিসা পেতে সময় লাগে প্রায় পাঁচ থেকে দশ দিন 

তুর্কিতে টুরিস্ট ভিসা পেতে ১০ থেকে ২১ দিন সময় লাগে এমন

উজবেকিস্তান যাওয়ার জন্য উজবেকিস্তানের টুরিস্ট ভিসা পেতে প্রায় পাঁচ থেকে সাত দিন সময় লেগে যায় 

দুবাই যাওয়ার জন্য দুবাই ভিসা দুবাই ভিসা পেতে ৫ থেকে ৭ দিন

ভিসা আবেদন করার নিয়ম ২০২৪: 

আমরা যখন এক দেশ থেকে আর এক দেশে ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে শিক্ষার উদ্দেশ্যে বা কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে যাই তখন আমাদের ভিসার প্রয়োজন পড়ে । পাসপোর্ট এবং ভিসা তৈরি হলে ওই দেশ থেকে অন্যান্য দেশ যেতে চাইলে ওই দেশে থাকার অনুমতি পাই। ভিসা হল একটা অনুমতি পত্র যা এক দেশ থেকে অন্য দেশে প্রবেশ করার জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে। ভিসা ছাড়া অন্য দেশে প্রবেশ করা সম্ভব নয় এবং এটা অবৈধ হিসেবে বিবেচিত। তাই যারা বিদেশ যাবেন না যেতে চান তাদের ভিসা আবেদন করার নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে জেনে তাদের ভিসা আবেদন করতে হবে। 

পাসপোর্ট ছাড়া যেমন বিদেশ যেতে পারা যায় না তেমনি ভিসা ছাড়াও বিদেশ ভ্রমণ করা যায় না। পাসপোর্ট এবং ভিসা একটি অপরটির সাথে জড়িত। তাই আপনি যদি ভিসা ছাড়া অন্য কোন দেশে প্রবেশ করতে চান তাহলে ওই দেশের অবৈধ নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবে হবেন এবং ওই দেশের সরকার আপনার উপর আইনা আনুক ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

আপনারা যদি পাসপোর্ট তৈরি করে থাকেন বা ভিসা তৈরি করতে আগ্রহ থাকেন তাহলে ভিসা আবেদন করার নিয়মাবলী দেখেন নিন ওয়েবসাইট থেকে। এখান থেকে দেখে নিন ভিসা আবেদন করার জন্য কি কি প্রয়োজন ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগে আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত। 

অনলাইনে ভিসা আবেদন: 

ভিসা আবেদন করতে হলে ভিসা আবেদন করার জন্য আপনাকে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। সাধারণত ভেজা তৈরি করার পর তিনমাস মেয়াদ থাকে। পরবর্তীতে এই তিন মাস থেকে মেয়াদ বাড়ানো যায়। আর এই বিএনপির সাথে উল্লেখ থাকে কত দিন পর্যন্ত। ভিসার মেয়াদ ভিসা শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে কিছু টাকা দিয়ে আবার বেশ্যার মেয়াদ বাড়ানো যায়।

অনলাইনে ভিসা আবেদন ফরম :

অনলাইনে ভিসা আবেদন করার জন্য আপনাকে বাংলাদেশী সরকারি ভিসা ওয়েবসাইট হে প্রবেশ করতে হবে। বাংলাদেশের সরকারি ভিসা ওয়েবসাইট প্রবেশ করে আপনি আবেদন লেখার জন্য আবেদন করতে পারেন এবং বিভিন্ন দেশের ভিসা সম্পর্কে জানতে পারেন আপনি ভিসা সম্পর্কে আরো জানতে চাইলে ওয়েবসাইটে থাকা ভিসা সম্পর্কিত পোস্টগুলো  পড়তে পারেন। এছাড়াও আপনি আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে আপনি যে দেশের ভিসা সম্পর্কে জানতে চান সেই দেশের ভিসা সম্পর্কে গুগলে সার্চ করতে পারে।

বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন ভিসা এজেন্সি এবং দালালেরা ভিসা প্রদান করে থাকে আপনি যদি বেসরকারি কোন এজেন্সি অথবা দাঁড়ানোর মাধ্যমে ভিসা আবেদন করতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনাকে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য এবং আবেদনের মূল্য পরিশোধ করতে হবে তাহলে বাংলাদেশের বিভিন্ন এজেন্সি বা দালালেরা আপনার ভিসার আবেদন করে দিবেন এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে যাতে দালালের সহজেই আপনার কাছ থেকে টাকা মেরে না দিতে পারে

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় :

আমরা যারা বিদেশ যায় তারা বিভিন্ন উপায় যে থাকি কেউ কেউ সরকারি ভাবে আবার কেউ কেউ বেসরকারি কোন এজেন্ট বা দালালের মাধ্যমে যে থাকে। বেসরকারি কোন এজেন্স বা দালালের মাধ্যমে বিদেশ গেলে অনেক সময় অনেক বিপদে সম্মুখীন হতে হয় অনেক প্রতারণার শিকার হতে হয় এজন্য আমাদের খুব সাবধানতার সাথে যাওয়া উচিত। সরকারিভাবে গেলে প্রতারণার শিকার বা দালালের খবর থেকে অনেকটা মুক্ত থাকা যায়। তাই সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়াটাই উত্তম। 

  • তাই বেসরকারি কোন এজেন্স বা দালালের মাধ্যম ছাড়া যারা বিদেশ যেতে চাই সরকারিভাবে তাদের জন্য একটি অ্যাপস ডাউনলোড করতে হবে । এই অ্যাপসটির নাম হচ্ছে আমি প্রবাসী 
  • আমি প্রবাসী অ্যাপসটি প্লে স্টোর থেকে আপনাকে ডাউনলোড করে নিতে হবে। 
  • আমি প্রবাসে অ্যাপসটি ডাউনলোড করার পর অ্যাপটি তে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে আপনার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। আর এই অ্যাপসটির মাধ্যমে আপনি সহজেই কম খরচে বিভিন্ন দেশে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এতে কোন দালালের ভয় নেই এবং দালালের খপ্পরে করে আপনাকে পড়তে হবে না। 
  • এই এপস সে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর আপনাকে ইন্টারভিউ এর জন্য ডাকা হবে। ইন্টারভিউ উত্তীর্ণ হতে পারলে আপনাকে ভিসা প্রদান করা হবে তখন আপনি বিদেশ যেতে পারবেন। 

আর এ সকল বিষয়গুলো কিন্তু দেশেই করা হবে। কারণ হচ্ছে আমি প্রবাসী অ্যাপসটি গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত। এজন্য আপনাকে ইন্টারভিউ এর জন্য অথবা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য দেশের বাইরে যেতে হবে না দেশেই দিতে পারবেন।

ভিসা করতে কত টাকা খরচ হয় বা ভিসার মূল্য: 

আমরা যদি বিদেশ যেতে চাই তাহলে আমাদের অবশ্যই পাসপোর্ট এবং ভিসা করতে হবে আর ভিসা করতে গেলে অবশ্যই জানতে হবে ভিসা করতে কত টাকা খরচ হবে সে বিষয়ে। ভিসা বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকেন। বিভিন্ন দেশের ভিসা খরচ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকেন। যেমন স্টুডেন্ট ভিসা ফরজ কাজের ভিসা ফরজ টুরিস্ট ভিসা খরচ আলাদা আলাদা খরচ নির্ধারণ করা হয়। 

এছাড়াও ভিসা খরচ ভিসা সরবরাহ কারীর উপর নির্ভর করে। মানে হচ্ছে আপনি যার কাছ থেকে ভিসা নিচ্ছেন বা যে আপনাকে ভিসা নিয়ে দিচ্ছে তার ওপর অনেকটা নির্ভর করে ভিসা হচ্ছে। তবে বেসরকারি এজেন্স বা দালালের মাধ্যমে ভিসা মেলে সে ক্ষেত্রে ভিসা খরচ অনেক বেশি হয়।

অন্যদিকে আপনি যদি সরকারি ভাবে ভিসা নিতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার ভিসা খর চ খরচ বেসরকারি তুলনায় বা দালালদের তুলনায় অনেক কম হবে। তবে সরকারিভাবে ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে আমাদের পোস্টিং মনোযোগ সহকারে পড়লেই পেয়ে যাবেন।

সুতরাং ভিসার খরচ পরিমাণ নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না কারণ কেউ বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে জানান আবার কেউ দালালের মাধ্যমে জানান আবার কেউ সরকারি ভাবে যেতে পারেন তাই একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকমের খরচ হয়ে থাকে।

উপসংহার:

আমরা যারা বিদেশ যায় বা যেতে চাই তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে জানতে পারবেন ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগে এবং ভিসা আবেদনের নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে এটি আপনার অনেক উপকারে আসবে তাই মনোযোগ সহকারে পড়বেন। কেননা বিদেশ যেতে হলে আপনার এই বিষয়গুলো জানা অনেক জরুরী।

আজকের এই আর্টিকেলটি মূলত বিদেশ যারা যাবেন তাদের জন্য বেশি উপকারী তারা আর্টিকেলটি পড়লেন আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে এবং কিভাবে আবেদন করবেন এর নিয়ম কোন সম্পর্কে জানতে পারবেন। এই ধরনের আর্টিকেল পড়তে চাইলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে থাকুন এবং ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এবং পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।



 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রয়েল; আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url