অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা-অ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম

আজকে আমরা জানবো অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং অ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত। যারা এখনো এলোভেরার পুষ্টি গুনাগুন এবং এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি। 

অ্যালোভেরা একটা ভেষজ উদ্ভিদ। এই উদ্ভিদের প্রচুর পুষ্টি গুনাগুন রয়েছে যা আমরা অনেকেই এখনো জানিনা আর না জানার কারণে এখনো এলোভেরা সঠিকভাবে সেবন করি না। অ্যালোভেরার পুষ্টি  উপাদান গুলো সম্পর্কে জানলে আমরা অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে সক্ষম হব। তাই আজকের এই আর্টিকেলে এলোভেরার পুষ্টি গুনাগুন, অ্যালোভেরা উপকারিতা, অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

পেজ সূচিপত্র: অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা সমূহ

এলোভেরার পুষ্টি উপাদান সমূহ

অ্যালোভেরা একটা ভেষজ উদ্ভিদ অ্যালোভেরা প্রচুর পরিমাণে  পুষ্টি উপাদান রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে আর যেসব পুস্টি উপাদানগুলো রয়েছে সেগুলো হচ্ছে ভিটামিন বি ভিটামিন এ ভিটামিন সি ভিটামিন ই আবার রয়েছে  ভিটামিন বি ২, ভিটামিন বি ৩ এবং ভিটামিন বি ১২ ও প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ যেগুলো হচ্ছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, সোডিয়াম ,আয়রন পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং কপার অ্যালোভেরা ।

এসিডের মধ্যে রয়েছে অ্যামিনো এসিড যা মানবদের জন্য প্রয়োজনীয় ২২ টি অ্যামিনো এসিডের মধ্যে আট টি এসেন্সিয়াল আমিনো অ্যাসিড অ্যালোভেরা । এলোভেরাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ব্যাকটেরিয়াল উপাদান চুলের যত্নে ব্যবহার করা হয় এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। 

এলোভেরার উপকারিতা সমূহ

অ্যালোভেরার উপকারিতা কারোরই অজানা নয়। অ্যালোভেরার উপকারিতা অনেক। এটি একটি ভেষজ উদ্ভিদ। প্রাচীনকাল থেকে প্রাকৃতিক ভেষজ ওষুধ হিসাবে অ্যালোভেরা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাই বলা যায় এলোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক। অ্যালোভেরা রয়েছে ২০ রকমের খনিজ পদার্থ যা মানব দেহের জন্য যে ২২ টি অ্যামিনো অ্যাসিড প্রয়োজন তা বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন বি ১২ এবং ভিটামিন সি। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক অ্যালোভেরার উপকারিতা সমূহ:

আরোপড়ুন: চালতার উপকারিতা ও অপকারিতা

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: এলোভেরা প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছেন যার কারণে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। নিয়মিত এলোভেরা রস খেলে এর পুষ্টি উপাদান গুলো সহজে আমাদের শরীরের প্রবেশ করে এবং শরীরের অনেক উপকার করে থাকে। নিয়মিত অ্যালোভেরার রস খেলে সর্দি ,কাশি, জ্বর এ জাতীয় সমস্যা সহজেই দূর করা যায়। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আপনি নিয়মিত অ্যালোভেরা রস সেবনকরতে পারেন।

মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে: এলোভেরা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে। এলোভেরা তে রয়েছেন অ্যাডাপ ্টোউজেন নামক পুসি্‌ট উপাদান। যা আমাদের শরীরে প্রাকৃতিক ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে থাকেন। আর আমাদের শরীরে যত প্রাকৃতিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে ততই আমরা মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকতে পারবো। তাই আপনি মানসিক চাপ কমাতে নিয়মিত এলোভেরা রস খেতে পারেন।

হজমে সহায়তা করে: এলোভেরা রস হজম জনিত সমস্যায় বেশ উপকারী। শরীরে হজমের সমস্যা হলে বিভিন্ন ধরনের অসুখের সৃষ্টি হয় আর এই সমস্যা দূর করতে আপনি নিয়মিত এলোভেরা রস খেতে পারেন। এতে করে আপনার হজমের সমস্যা দূর হবে এবং পরিপাক ও রেশন যন্ত্র বিভিন্ন ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত রাখতে পারবেন। শুধু তাই নয় অ্যালোভেরা রস খেলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যে মত সমস্যা এবং ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

অ্যালোভেরা ওজন কমাতে সাহায্য করে: বর্তমানে অনেক মানুষই দেখা যায় ওজন নিয়ে চিন্তিত এবং স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত তারা নিয়মিত এলোভেরা রস খেলে এসব চিন্তা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। কেননা এলোভেরা রস নিয়মিত খেলে শরীরের ওজন সহজেই কমে যায় এবং শরীর সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে ।তাই যারা ওজন নিয়ে চিন্তিত আছেন তারা নিয়মিত এলোভেরা রস খেতে পারেন।

হার্টের ক্ষমতা বাড়ায়: হার্টের ক্ষমতা বাড়াতে এলোভেরা রস এর উপকারিতা অনেক কেননা এলোভেরার রসে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে। অনেক গবেষক একটা তথ্য দিয়েছেন যে ,এলোভেরা রস খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং শরীরের প্রবাহের মাত্র বেড়ে যায়। যার ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্ষমতা বেড়ে যায় সাথে সাথে হার্টের কার্যক্ষমতা ও বেড়ে যায়। শুধু তাই নয় এটি রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হাটকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

ক্ষতের চিকিৎসায় কাজ করে: রস শরীরের ক্ষতির চিকিৎসায় ী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কেননা এলোভেরা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনক্রিমেন্টরি  উপাদান যা শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে আপনার ক্ষতস্থান নিরাময়ে সাহায্য করে থাকেন। তাই আপনি চাইলে নিয়মিত এলোভেরা রস খেতে পারেন আবার ক্ষতস্থানে এলোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন তাহলে এর থেকে অনেক উপকার পাবেন।

এলোভেরা পুষ্টির ঘাটতি দূর করে: অ্যালোভেরা এই প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও উপাদান রয়েছে। তাই যারা নিয়মিত অ্যালোভেরা রস খান তাদের শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ পদার্থ ও মিনারেলের ঘাটতি দূর হয় এবং এর ফলে শরীরের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতিও খুব বেশি থাকে না। তাই এলোভেরা রস নিয়মিত খেলে আমাদের শরীর আর বেলা থেকে যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টি উপাদান নিতে পারে ফলে ফলে শরীর রোগমুক্ত থাকে

শরীরের হরমোন কে ঠিক রাখতে সাহায্য করে: এলোভেরা রস প্রতিদিন পান করলে শরীরের হরমোন ক্ষরণকে ঠিক রাখা যায় । নিয়মিত এলোভেরা রস খেলে শরীরের হরমোন বৃদ্ধি পায় সরাসরি শরীরে অন্যরকম একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যারা এলোভেরা রস নিয়মিত খান তারা এই পরিবর্তনটি লক্ষ্য করতে পারবেন। এটি খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের হরমোনাল ইন ব্যালেন্স আর থাকবে না তাই নিয়মিত খেতে পারেন।

শরীর থেকে টক্সিক উপাদান বের করে দেয় : অ্যালোভেরা রস শরীর থেকে টক্সিক উপাদান বের করতে সাহায্য করে থাকে। প্রতিদিন এটি খালি পেটে খেলে আপনার শরীরের মধ্যে এত পরিমাণ আন্টি অক্সিডেন্ট তৈরি হবে যে দেহের প্রতিটি জায়গায় জমে থাকা টক্সিকো উপাদান গুলো বের হতে শুরু করবে। যদি আপনার শরীরে টক্সিক উপাদান গুলো বেড়ে যায় তাহলে শরীরের অনেক ক্ষতি হবে এবং ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে ।তাই আগে থেকে সচেতন হয়ে নিয়মিত অ্যালোভেরা রস পান করুন।

লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়ায়:  অ্যালোভেরা রস লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে থাকেন। লোহিত রক্তকণিকা কম থাকার কারণে অনেক নারী অ্যানিমিয়া রোগে ভুগে থাকেন। আর এই অ্যানিমিয়া রোগ দূর করার জন্য আপনি অ্যালোভেরা রস খেতে পারেন। কারণ এলোভেরা রস শরীরে রোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন করে রক্তকে উজ্জীবিত রাখে ফলে এটি নিয়মিত খেলে অ্যানিমিয়ার কোন সমস্যা থাকবে না

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে: ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে এলোভেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ত্বকে তেল থাকার কারণে তোকে ব্রনের সমস্যা দেখা দেয় আর এই ব্রণের সমস্যা দূর করার জন্য এলোভেরা জেল দিনে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও তাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন ত্বকের ক্ষত, ত্বকের দাগ, ব্রনের দাগ দূর করার জন্য এলোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন কেননা এলোভেরা জেল ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। এছাড়াও এলোভেরা জেল ত্বকের সংক্রমণ নিরাময় ভূমিকা পালন করে থাকে।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে: বর্তমানে কোষ্ঠকাঠিন্য এমন একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে বেশিরভাগ মানুষই এই সমস্যায় ভুগছেন এবং এ নিয়ে চিন্তিত। আরে সমস্যা গুলি দূর করার জন্য আপনি নিয়মিত এলোভেরা রস পান করতে পারেন। এলোভেরা রস নিয়মিত খেলে মল ত্যাগ সহজ হবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তাই যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তারা নিয়মিত অ্যালোভেরা রস পান করুন তাহলে এর থেকে অনেক উপকার পাবেন।

রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে: শরীরে কোলেস্টেরল থাকা প্রয়োজন তবে এটি বেশি পরিমাণে থাকলে শরীরের অনেক ধরনের ক্ষতি হয়। অনেক সময় শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল জমা হয়ে শরীরের হার্টের ক্ষতি করে। তাই নিয়মিত এলোভেরা রস খেলে রক্ত ে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরের খারাপ কলেস্টেরল গুলো দূর করতে সাহায্য করে ফলে শরীর সুস্থ ও সফল থাকে।

এলোভেরার অপকারিতা সমূহ

এলোভেরা পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এর পুষ্টি গুনাগুন অনেক যার কারনে মানুষ এটি সেবন করে থাকে। এটি মানব দেহের জন্য যেমন অনেক উপকারী তেমনি এর কিছু ক্ষতিকর দিক  রয়েছে। ভারতীয় একটি হেলথ কেয়ার সেন্টারের প্রধান এবং পুষ্টিবিজ্ঞানী ডক্টর দীপা বাগি বলেন যে, এলোভেরা বিষাক্ততা এবং এটি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক অ্যালোভেরার অপকারিতা সমূহ:

  • অ্যালোভেরা রস খেলে শরীরে এলার্জির সমস্যা হতে পারে। যাদের শরীরে এলার্জি সমস্যা রয়েছে তারা এলোভেরা রস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন। তা না হলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • এলোভেরা রস বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে সেই জন্য অ্যালোভেরা রস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন।
  • গর্ভবতী মহিলাদের এবং স্তন্যপায়ী মহিলাদের ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা রস এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এই এলোভেরা রস গর্ভবতি মহিলাদের  ক্ষেত্রে অনেক ক্ষতিকর হতে পারে।
  • অ্যালোভেরা রস বেশি পরিমাণে খেলে লিভারে প্রদাহর সমস্যা হতে পারে এজন্য অ্যালোভেরার রস খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
  • এলোভেরা রস খেলে শরীরের রক্তচাপ কমে যেতে পারে ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
  • অ্যালোভেরা রস বেশি পরিমাণে খেলে পাইলস জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই এটি খাওয়ার পূর্বে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

অ্যালোভেরা রস বেশি পরিমাণে খাবেন না এটি সীমিত পরিমানে খাওয়া উচিত না হলে ডায়রিয়ার জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। অ্যালোভেরা ব্যবহারের কারণে যদি স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি হয় তাহলে সাথে সাথে এলোভেরা ব্যবহার বন্ধ করা উচিত এবং নিকটস্থ ভালো কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এলোভেরা রস গর্ভাবস্থায় খেতে চাইলে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরে খাওয়া উচিত তা না হলে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

অ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম 

অ্যালোভেরা একটি ভেষজ উদ্ভিদ এর পুষ্টিগুণাগুণ অনেক। অ্যালোভেরার উপকারিতা অনেক। অ্যালোভেরা আমাদের শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পুষ্টি উপাদান। তাই নিয়মিত আমাদের এলোভেরা খাওয়া উচিত। এটি খেলে আমাদের শরীর সুস্থ ও সবল থাকে। এজন্য এটি খাওয়ার আগে আমাদের জেনে নিতে হবে খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক নিয়ম 

আরোপড়ুন: চালতা খাওয়ার নিয়ম

অ্যালোভেরা সাধারণত জুস বা শরবত বানিয়ে খাওয়া হয়। আর এই জুস বানানোর জন্য প্রথমেই অ্যালোভেরা ডগাটি ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে দিতে হবে। এরপর এর খোসাটি আলাদা করে নিতে হবে এবং ভেতরের জেলটি আলাদা করে একটি পাত্রে নিয়ে ফেটে নিতে হবে, এর সাথে কিছু পানি মিশিয়ে নিতে হবে। আপনি চাইলে এই জেলের সাথে পরিমাণ মতো তকমা দানা মিশিয়ে নিতে পারেন, সাথে লেবুর রস মিষ্টি করার জন্য সামান্য চিনি এবং এক চিমটি লবণ বা টেস্ট টি  লবণ মিক্সড করতে পারেন। এভাবে শরবত বানিয়ে এলোভেরা খেতে পারেন

এলোভেরা জুস খাওয়ার উপকারিতা 

এলোভেরা বর্তমানে একটা কমন জিনিস হয়ে গেছে। বর্তমানে এখন প্রায় বাড়িতেই এলোভেরা গাছ টবে লাগানো থাকে। কারণ এখন অনেকেই জানেন অ্যালোভেরা একটা ভেষজ উদ্ভিদ এবং এর পুষ্টিগুনাগুলো অনেক তাই এর উপকারিতা ও অনেক। এই উদ্ভিদটি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় এবং বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। এটি পেটের বিভিন্ন সমস্যা, মুখে ঘা, ত্বকের সুরক্ষা এবং শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। তাই এর জুস নিয়মিত খেলে শরীরের অনেক উপকার হয়। 

এলোভেরা জুস নিয়মিত খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা ও দূর করা যায়। অ্যালোভেরা খেলে হজম শক্তির বৃদ্ধি পায় ফলে পাকস্থলি পরিষ্কার থাকে এবং হার্ট সুস্থ ও সবল থাকে। ফলে শরীরে সহজেই কোন রোগ বাসা বাঁধতে পারে না। এটি রোগ প্রতিরোধক হিসাবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনি চাইলে এলোভেরা জুস দিনে এক থেকে দুইবার সেবন করতে পারেন।

বর্তমানে এলোভেরা জুস বিভিন্ন বাজারে বা মোড়ে পাওয়া যায়। আবার উনি যে তৈরি কর ভালো করার জুস খাওয়া যায় তবে বাইরে না খাওয়াই ভালো কারণ এটি অনেক সময়  অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয় যার কারণে এটি শরীরের অনেক ক্ষতি হতে পারে। তাই বাইরের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জুস না খাওয়ায় ভালো। বাড়িতে বানিয়ে খেলে অনেক ভালো হয় যদিও এটি তৈরি করতে একটু সময় লাগে। 

অ্যালোভেরার জুস তৈরির নিয়ম 

অ্যালোভেরা প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে এছাড়া রয়েছে ভিটামিন খনিজ পদার্থ ও প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। অ্যালোভেরা জুস নিয়মিত খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এইজন্য আমরা নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খেতে পারি। অ্যালোভেরা জুস বর্তমানে বিভিন্ন বাজারে ও মোড়ে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে বানিয়ে থাকেন। তবে বাজারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জুস না খাওয়াই ভালো। এজন্য আপনি বাসায় এটি তৈরি করে খেতে পারেন। এজন্য আপনাকে বাসায় তৈরির নিয়মটা জানতে হবে তাহলে খুব সহজেই বাসায় এলোভেরা জুস তৈরি করতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক জুস তৈরির নিয়ম:

  • অ্যালোভেরা জুস তৈরি করার জন্য প্রথমে আপনাকে কিছু তোকমা দানা ভিজিয়ে রাখতে হবে। অন্তত ১০ মিনিট আগে তোকমা দানা ভিজে রাখতে হবে না হলে না খুলবে না ফুলবে না 
  • এরপর এলোভেরা ডগা ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে এটি কেটে এর ভেতরের জেলটি বের করে নিতে হবে। এলোভেরা জেল টি ভালো একটা পাত্রে নিয়ে পাঁচ থেকে সাত মিনিট ঘটে নিতে হবে মিক্সড করে নিতে হবে যাতে অ্যালোভেরা জেল গলে যায়। 
  • এরপর এলোভেরা জেল এর সাথে ভিজে রাখা তোকমা দানা মিশিয়ে নিতে হবে এবং পরিমাণ মতো পানি নিতে হবে দিয়ে ভালোভাবে মিক্সড করে নিতে হবে 
  • এরপর এলোভেরা জেল এর সাথে কিছু পরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। 
  • কিছু পরিমাণ আয়োডিনযুক্ত লবণ বা টেস্টি সল্ট এর মধ্যে দিতে পারেন ।
  • এরপর অ্যালোভেরা জুস মিষ্টি করার জন্য সামান্য পরিমাণ চিনি অথবা সামান্য পরিমাণ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। এভাবে পুরা মিশ্রণটি মিক্সড করে আপনি অ্যালোভেরা জুস তৈরি করতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় অ্যালোভেরার উপকারিতা 

অ্যালোভেরার উপকারিতা অনেক এলোভেরা প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা মানুষের শরীরে অনেক উপকার করে থাকে। এটি সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কেননা এর পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান রয়েছে। গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভাবস্থায় অনেক সমস্যা দেখা যায়, অনেক ভিটামিনের অভাব দেখা যায় এ সব সমস্যাগুলো দূর করার জন্য গর্ভবতী মহিলারা নিয়মিত এলোভেরা সেবন করতে পারেন। এতে করে তাদের ঘাটতি জনিত পুষ্টির চাহিদা সহজে পূরণ করতে পারে।

  • অ্যালোভেরা প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ বিদ্যমান রয়েছে যা ডায়েটে প্রয়োজনে পুষ্টি গুলির পরিপূরক হিসাবে অ্যালোভেরা জুস খাওয়া যেতে পারে। 
  • এলোভেরা রস পেটে ও অন্ত্রের পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে। এটি খেলে পাকস্থলী পরিষ্কার হয় ফানি পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় তাই এটি নিয়মিত খেতে পারেন। 
  • গর্ভাবস্থায় অ্যালোভেরা জেল শুষ্ক ও চুলকানিযুক্ত ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে। নিয়মিত প্রয়োগের ফলে তক কমল ও নরম রাখতে সাহায্য করে। 
  • এলোভেরা রস রক্তের কোষগুলোকে পৃথক করে রক্ত সঞ্চালনকে উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি গর্ভবতী মহিলাদের টিস্য বৃদ্ধি ও মেরামতে সাহায্য করে থাকে। 
  • গর্ভবতী মহিলাদের অনেক সময় তাদের শরীরে পুষ্টির স্বল্পতা দেখা যায়। অ্যালোভেরা প্রচুর পরিমাণে পুস্টি উপাদান থাকাই এটি নিয়মিত সেবন করলে গর্ভবতী মহিলাদের পুষ্টির চাহিদা অনেকটা পূরণ হয়ে যায়।
  • গর্ভাবস্থায় এটি সেবন করলে গর্ভবতী মহিলাদের অনেক সমস্যা দূর হয়ে যায় যেমন কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা প্রায় গর্ভবতী মহিলাদের দেখা যায়। এটি নিয়মিত সেবনের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দূর হয়ে যায়।

ত্বকে এলোভেরার ব্যবহার 

অ্যালোভেরার জেল ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। অ্যালোভেরা ত্বক সুন্দর রাখতে, ত্বক কোমল ও মসৃণ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। অ্যালোভেরা পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে। জাতকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এলোভেরা ত্বকের ক্রিম ও সৌন্দর্যের পণ্যগুলিতে স্বাস্থ্যকর উপকারিতার কারণে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এলোভেরা মানুষ অনেক বছর আগে থেকেই ত্বকের রূপচর্চার কাজে ব্যবহার করে আসছে।

  • অ্যালোভেরা নিয়মিত ব্যবহারের ফলে মুখে ব্রনের মত সমস্যা গুলি সমাধানে কার্যকর ভাবে কাজ করে থাকে। এটি রোদে পোড়া, চুলকানি ও ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে ব্যাপকভাবে কাজ করে থাকে। 
  • অ্যালোভেরাই শক্তিশালী এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য যুক্ত উপাদান বিদ্যমান থাকে যার কারণে এটি ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে থাকে।
  • এলোভেরা জেল সংবেদনশীল শুষ্ক ত্বক নরম ও কমলে এবং মসৃণ করতে সাহায্য করে। আপনি ত্বকের সুস্থতায় নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। 
  • এলোভেরা জেল নিয়মিত ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক টানটান থাকে এবং ত্বকের বয়স জনিত চাপ দূর করতে সাহায্য করে। তাই আপনি নিয়মিত এলোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন।
  • এটি তত্ত্বের ভেতর থেকে পরিষ্কার করে এবং মৃত কোষগুলি অপসারণ করতে সাহায্য করে। এলোভেরা নতুন কোষ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন।
  • সূর্যের যে বিকিরণ পৃথিবীতে আসে তার মধ্যে আলট্রাভায়োলেট রশ্মি ও গামা রশ্মি ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতিকর। সেটি ত্বকের ভাজ সৃষ্টি করে থাকে। তাই এলোভেরা নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ত্বকের এই সমস্যার সহজে দূর করা যায়। 

চুলে এলোভেরার ব্যবহার 

প্রাচীনকাল থেকেই এই ভেষজ উদ্ভিদটি মানুষ নানাভাবে ব্যবহার করে আসছে। ত্বক ও চুলের যত্নে এ ভেষজ উদ্ভিদ টি বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। নিয়ম মেনে এটি ব্যবহার করলে এর থেকে শতভাগ গুণা গুণ পাওয়া যায়। ডারমাটোলজিস্টরা বলছেন, অ্যালোভেরার পুষ্টি গুনাগুন চুলের যত্ন নিতে পারে গভীর থেকে। অ্যালোভেরা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটাক্যারোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই যা চুলে পুষ্টির যুগিয়ে চুলকে করে ঘন কালো এবং ঝলমলে। 

অ্যালোভেরা রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ক্ষমতা যা চুলের স্কেলপের যেকোনো সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করেন। তাই চুলের যত্নে আপনি নিয়মিত অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবেও কাজ করে। তাই চুলের শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার হিসেবে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন।

চুলে এলোভেরা ব্যবহারের নিয়ম 

চুলে এলোভেরা ব্যবহারের কিছু নিয়ম রয়েছে যা মেনে এলোভেরা ব্যবহার করলে চুল অনেক সুন্দর ঘন কালো ও ঝলমলে দেখা যায়। নিয়মিত এলোভেরার ব্যবহার চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে মাথার ত্বকের হাইড্রেশন বাড়াতে ক্ষত নিরাময় করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এটি ব্যবহারে মাথার ত্বকের প্রদাহ এবং খুশকি দূর করা যায়। যেভাবে এটি চুলে ব্যবহার করবেন 

আরোপড়ুন: গর্ভবস্থায় চালতা খাওয়ার নিয়ম

  • প্রথমে এলোভেরা গাছের পাতা কেটে নিন 
  • চামচ ব্যবহার করে একটি পাত্রে এলোভেরা জেল সংগ্রহ করুন
  • জেল সংগ্রহ করার পর এটি মাথায় আলতো ভাবে ব্যবহার করুন এবং কিছু সময় অপেক্ষা করুন। 
  • তারপর শ্যাম্পু দিয়ে আপনার মাথার চুল এবং ত্বক ধুয়ে ফেলুন। 
  • এবং এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করতে থাকুন। 

তাহলে দেখবেন আপনার মাথায় থাকা বিভিন্ন সমস্যা যেমন ত্বকের প্রদাহ ,মাথায় খুশকি, চুল পড়া, চুল ভেঙ্গে পরা ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। তাই আমরা বলতে পারি চুলের যত্নে অ্যালোভেরা উপকারিতা অনেক।

জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন উত্তর সমূহ 

১।এলোভেরা জেল কিভাবে খেতে হয়? 

উত্তর: এলোভেরা জেল জুস করে খেতে হয়। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস এলোভেরা জুস পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব বৃদ্ধি পায়।

২।অ্যালোভেরা জুস কিভাবে বানাবো? 

উত্তর: প্রথমে এলোভেরা পাতাটি ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর বাজারটি খেতে ভেতর থেকে এর জেলটি সংগ্রহ করে নিতে হবে। এরপর এটি ফেটে নিতে হবে এবং এর সাথে প্রয়োজনীয় উপাদান যেমন টেস্টি লবণ ইত্যাদি মিক্স করে জুস তৈরি করতে পারেন। 

৩।শুষ্ক চুলের জন্য কি এলোভেরা ভালো? 

উত্তর: হ্যাঁ সুস্থ চুলের জন্য এলোভেরা জেল ভালো। মাথার শুষ্ক ত্বক শুষ্ক চুল কে মশ্চারাইজ করার জন্য অনেকেই অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করে থাকেন। অ্যালোভেরা জেনে ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যার কারনে এটি ত্বক ও চুলের জন্য অনেক উপকারী। 

৪। কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের জন্য কি এলোভেরা জেল ভালো? 

উত্তর: কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের জন্য অ্যালোভেরা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। অ্যালোভেরা জেল নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর হয় এবং এটি হজমে সাহায্য করেন। তাই নিয়মিত এলোভেরা জেল খাওয়া উচিত।

উপসংহার 

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। অ্যালোভেরা প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান রয়েছে যা অনেকেই জানে না কি। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে যারা এর উপকারিতা অপকারিতা এভাবে পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন তারা অন্যদেরকে জানাতে সহযোগিতা করুন।

আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পেরেছেন অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা ও অ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে এবং এর পুষ্টি গুনাগুন সম্পর্কে।অ্যালোভেরা প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান রয়েছে এটি শরীরে অনেক উপকার করে থাকে যার কারণে আপনারা নিয়মিত অ্যালোভেরা খেতে পারেন।

আজকের পোস্টটি পড়তে যদি কারো সমস্যা হয় এবং এই বিষয়ে যদি কারো কোন মতামত থাকে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন আর এই ধরনের পোস্ট নিয়মিত করতে চায় না আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন এবং নিয়মিত ভিজিট করুন। 




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রয়েল; আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url