কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা-মুখে কাঁচা হলুদের ব্যবহার

আজকের আর্টিকালে আমরা যে বিষয়টি জানবো তা হল কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং মুখে কাঁচা হলুদের ব্যবহার সম্পর্কে। কাঁচা হলুদ বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত এর অনেকগুলো স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে । যেমন কাঁচা হলুদ ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং হৃদরোগের উন্নতি করতে সহায়তা করে ।
কাঁচা হলুদের শুকিয়ে গুড়া করে এক প্রকারের মসলা তৈরি করা হয়। বহু প্রাচীনকাল থেকেই এশিয়া মহাদেশে রান্নার কাজে এই মসলা ব্যবহার করা হয়। আর এই কাঁচা হলুদের বিশেষ কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কাঁচা হলুদ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

পেজসুচিপত্র: কাঁচা হলুদের উপকারিতা সমূহ

হলুদ পরিচিতি : কাঁচা হলুদের উপকারিতা সমূহ

হলুদের বৈজ্ঞানিক নাম হল (curcuma longa) ।curcuma হলুদ নামটা আরবি শব্দ থেকে এসেছে। হলুদ হাজার হাজার বছর ধরে এশিয়া মহাদেশে রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয় । হলুদ একটি ঔষধি গাছ হিসেবে সুপরিচিত। হলুদ হল গাছের শিকড় থেকে পাওয়া এক প্রকারের মসলা এটি ভারত, বাংলাদেশ এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রান্নার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি  একটা গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। হলুদ গাছের আদি উৎস হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া। 

আরো পড়ুন: ইসবগুলের ভুসির উপকারিতা অপকারিতা

হলুদ গাছ সাধারণত ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে জন্মে থাকে। হলুদ গাছের জন্য প্রচুর পানি দরকার হয় যার কারণে এটি বর্ষাকালে ভালো হয়। হলুদ সাধারণত বছরে একবার শিকড় থেকে তোলা হয় পরের বছর পুরানো শেখর থেকে আবার নতুন গাছ জন্ম নেই। হলুদ গাছের শেখড় কে পানি দিয়ে সিদ্ধ করে তা রোদে শুকিয়ে এই শিকড়কে চূর্ণ করে হলুদের গুঁড়ো তৈরি করা হয়।আর এই হলুদের গুড়ো এশিয়া মহাদেশের নানান দেশের খাদ্য প্রস্তুতে ব্যবহার করা হয়। 

তবে এটি প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ এই শিকড় ভালোভাবে ধৌত করণের পর শিল-নোড়ায় বেটে নিয়ে হলুদের পেস্ট তৈরি করে সরাসরি রান্নার কাজে ব্যবহার করত।

কাঁচা হলুদের পুষ্টি উপাদান: 

প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ কাঁচা হলুদ ব্যবহার করে আসছে বিভিন্ন কাজে এবং রান্নার জন্য। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই হলুদ সম্পর্কে প্রায় দুটি বিষয় ভাল ধারণা রয়েছে তা হল হলুদ রান্নার কাজে ব্যবহার হয় আর আরেকটি হল বড় ধরনের অনুষ্ঠান এর আগে মুখে লাগানো। খাঁচা হলুদ আরো অনেক উপকার করে থাকেন এটি মশলা খাওয়ার সাথে সাথে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা ও জড়িত রয়েছে এই কাঁচা হলুদের সাথে কাঁচা হলুদের উপকারিতা মারাত্মক কাঁচা হলুদের এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এন্টিভাইরাল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এনটি ইনফ্লেমেন্টরি ইত্যাদি নানা ঔষধি গুন থাকায় বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় বিশেষ করে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পত্র তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

কাচা হলুদের একটি ঔষধি গুনাগুন সমৃদ্ধ উপাদান বা মসলা। কাঁচা হলুদে বিভিন্ন পুষ্টি প্রধান রয়েছে যেমন ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা হলুদে যে পরিমাণ পুস্টি উপাদান রয়েছে তা হল ভিটামিন সি ৩৫ মিলিগ্রাম, ম্যাঙ্গানিজ ২.৮৬ মিলিগ্রাম, লোহা 0.৫৮ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ৪২২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি সিক্স ০.১৫৪ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ২৪ মিলিগ্রাম, ফাইবার ৩.১ গ্রাম। এছাড়াও কাঁচা হলুদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে সেগুলো শরীরের জন্য অনেক উপকারী। সেগুলো হলো কার্কিউমিন, টারমেরিক, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ফলিক এসিড ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান।

কাঁচা হলুদের উপকারিতা সমূহ:

কাঁচা হলুদে কার্কিউমিনের এন্টি ইনফ্লেমেন্টারি ও এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে। এই উপাদান গুলি বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে খাদ্যনালী কে বাঁচাতে সাহায্য করে। আমরা যে খাবারগুলি খেয়ে থাকি তার মধ্যে অনেক সময় নানান ধরনের জীবাণু থেকে যেতে পারে। খাবারে হলুদ বা হলুদের গুঁড়ো ব্যবহার করলেন খাদ্যনালীকে বিভিন্ন ক্ষতিকর জিবাণুর হাত থেকে বাঁচানো যায় এবং খাদ্যনালীর প্রদাহের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। যারা রিউম্যাট এড আর্থাইটিসে ভোগেন তারা যদি নিয়ম করে কাঁচা হলুদ খান তাহলে তার ব্যথা কমবে এবং হাড়ের জয়েন্টের জন্য অনেক উপকার হবে। 

হাড়ের জোড়া লাগাতে: প্রাচীনকালে থেকেই কাঁচা হলুদ শরীরের বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকেন এর মধ্যে অন্যতম একটা হচ্ছে হাড়ের নানা রকম সমস্যা যেমন হাড় ভেঙে যাওয়া হারের টিস্যু গুলিকে রক্ষা করা ইত্যাদি। শরীরের কোন হাড় ভেঙে গেলে ভাঙ্গা জায়গায় কাঁচা হলুদ বেটে লাগালে তা ভালো উপকার পাওয়া যায়। আবার দুধের সাথে কাঁচা হলুদ দিয়ে খেলেও অনেক উপকার হয়। হলুদের আন্টি ইনফ্লেমেন্টরি গুণ  ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগাতে সাহায্য করে। তাই সহজে বলা যায় হাড়ের জোড়া লাগাতে কাঁচা হলুদের ভূমিকা অপরিসীম। 

ক্যান্সার দূর করতে কাঁচা হলুদ: শরীরের অন্যতম একটা রোগ হলো ক্যান্সার আর এই ক্যান্সার দূর করতে কাঁচা হলুদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হলুদে রয়েছে কার্কিউমিন যা ক্যান্সার দূর করতে সহায়তা করে। কার্কিউমিন ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে এবং ক্যান্সার কোষের মৃত্যু ঘটাতে সাহায্য করে ফলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা অনেকটাই হ্রাস পায়। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায় যে, প্রতিদিন কাঁচা হলুদ খেলে ৫৬ রকম ক্যান্সার সম্ভাবনা কমে যায়। 

কাঁচা হলুদ টিউমার কে সংকুচিত করে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে। ফলে শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি উপাদান হল কাঁচা হলুদ আর এই কাঁচা হলুদ ক্যান্সার রোগীদের জন্য কেমোথেরাপির কাজ করে থাকে। 

ত্বকের জন্য কাঁচা হলুদ: প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ কাঁচা হলুদের রূপচর্চায় ব্যবহার করে থাকে এমনকি বিয়ে শাদীতেও মানুষ গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে হলুদ দিয়ে থাকেন। মানুষ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য কাঁচা হলুদ বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে থাকে। ত্বকের বিভিন্ন দাগ,ত্বক টানটান রাখা ,ত্বকে ব্রণের সমস্যা জন্য কাঁচা হলুদের পেস্ট তৈরি করে বা শিল-পাটাই বেটে মুখে লাগানো যেতেযায় । কাঁচা হলুদে থাকা কার্কিউমিন এর এন্টিঅক্সিডেন্ট এর গুণ ত্বককে বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা করে এবং তাকে বয়সের ছাপ থেকে বাঁচায়। 

বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি: বাতের ব্যথায় হলুদের উপকারিতা অনেক। হলুদ বিভিন্ন ব্যথায় সাহায্য করে থাকে তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে বাতের ব্যথা তাহলে তো উপস্থিত এন্টি অক্সিজেন শরীরের কোষের অধিকারী ফ্রি আর্টিকেল ধ্বংস করতে কাজ করেন ফলে এটি দীর্ঘস্থায়ী প্রদার্র্হ্য্য জনিত রোগ এবং জয়েন্টের ব্যথায় অনেক উপকারী উপাদান। প্রতিদিন কাঁচা হলুদ খেলে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ জনিত রোগ এবং হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা অনেক অংশে কমে যায়। বাতের ব্যথা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়। 

ক্ষত নিরাময়ের বৈশিষ্ট্য হিসেবে: কাঁচা হল ক্ষত নিরাময়ের জন্য অনেক উপকারী। কাঁচা হলুদের প্রাকৃতিক এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিসেফটিক উপাদান থাকে যা বিভিন্ন জিবানু নাশক হিসেবে কাজ করে। শরীরের বিভিন্ন ক্ষত হলে কাঁচা হলুদ লাগালে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আবার এক গ্লাস দুধের সাথে হলুদের গুড়ো মিশিয়ে খেলে সংক্রমণ দ্রুত নিরাময় করা যায় এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। 

স্ট্রোকের সম্ভাবনা রাস: কাঁচা হলুদ আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে খাঁচা হলুদ নিয়ম করে খেলে আমাদের স্টোকের সম্ভাবনা কে অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে । এছাড়াও কাঁচা হলুদের থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট ও আন্টি ইনফ্লিমেন্ট গুণ স্ট্রোকের পরবর্তী চিকিৎসাতেও অনেক উপকার করে থাকেন। কাঁচা হলুদ হাটকে বিভিন্ন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করেন। অনেক রোগী আছেন যারা অপারেশনের পরে যে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে তাও এই কাঁচা হলুদ কমাতে সাহায্য করে। 

দাঁতের ক্ষয় থেকে রক্ষা: কাঁচা হলুদ দাঁতের ক্ষয় রোধ করতেও সাহায্য করে। কাঁচা হলুদে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকাই দাঁত কে বিভিন্ন জীবাণু থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করেন। তাই অনেক সময় বিভিন্ন টুথপেস্ট হলুদকে অত্যাবশকীয় উপাদান হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। এছাড়াও কাঁচা হলুদ দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া মুখের ভেতরে ক্ষত, মুখের ভেতরে গন্ধ হওয়া ইত্যাদি রোগ এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

সর্দি কাশিতে কাঁচা হলুদ: সর্দি কাশিতে কাঁচা হলুদের ভূমিকা অপরিসীম। হলুদের থাকা কার্কিউমিন ইনফ্লুয়েঞ্জা, সর্দি কাশি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও কাঁচা হলুদ ইমিউনিটির আক্রমন থেকে ও সর্দি কাশি দূর করতে সাহায্য করে । কাঁচা হলুদে থাকা ভিটামিন সি সর্দি কাশি দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেন।

হেপাটাইটিসের হলুদ: হেপাটাইটিস রোগের কারণে আমাদের যকৃতে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। আর এই প্রদাহ কমাতে হলুদ অনেক উপকার করে থাকে। কাঁচা হলুদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইনক্রিমেন্টারি ও অ্যান্টিভাইরাল গুণ হেপাটাইটিসের সময় যকৃতের প্রদাহ কমিয়ে আমাদেরকে বাঁচিয়ে তুলতে সাহায্য করে। কাঁচা হলুদ নিয়মিত খেলে চাকরিতে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে যকৃতে স্বাভাবিক কাজকে বজায় রাখতে ও সাহায্য করে ফলে আমাদের শরীর অনেক সুস্থ সবল থাকে।

থাইরয়েডের সমস্যা থেকে বাঁচতে: কাঁচা হলুদে থাকা কার কেউ মিল যা থাইরয়েডের প্রদাহ থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। হলে আমাদের শরীর অনেক উপকার হয়। শুধু তাই নয় কাঁচা হলুদ নিয়মিত খেলে আমাদের গলা ভন্ড রোগের সম্ভাবনা ও মানেটা কমে যায়। 

মূত্রনালীর প্রদাহ: বিভিন্ন রিসোর্ট থেকে জানা গেছে যে কাঁচা হলুদের থাকা এন্টিবায়োটিক ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুন মূত্রনালী কে জীবাণু হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করেন। এমন কি কাঁচা হলুদে উপস্থিত আর কেউ মিল মূত্রনালী সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। 

পেশির টানে হলুদে : কাঁচা হলুদের থাকা আর কেউ মেয়েদের আন্টি ইনক্রিমেন্টারি গুণ বিভিন্ন পেশী টান জনিত রোগ যেমন আর্থ্রাইটিস অস্ট্রিও আর্থাইটিস রোগী রোগের প্রদাহ থেকে আমাদের সাহায্য করে। তাহলে সহজে বেশি রোগ দূর করা যায়। 

কোলেস্টেরলের মাত্রা: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে কাঁচা হলুদ রক্তের কোলেস্টেরনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যাদের কোলেস্টেরল আছে তারা নিয়ম করে ওষুধ খেতে হয়। তাই তারা নিয়ম করে ওষুধ না খেয়ে নে নিয়ম করে কাঁচা হলুদ খান এতে করে আপনার কোলেস্টেরল মাত্রা অনেক কমে যাবে এবং অনেক উপকার পাবেন 

পিরিয়ডের সময়: পিরিয়ডের আগে অথবা পিরিয়ডের পরে যদি কারো পেটে ব্যথা হয় তাহলে নিয়ম করে কাঁচা হলুদ খেতে পারেন । কাঁচা হলুদের অ্যান্টি ইনক্রিমেন্টরি উপাদান পেট ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়ম করে কাঁচা হলুদ খেলে পেট ব্যাথা থেকে উপকার পাবেন।

রান্না তেলে অক্সিডেশন: হলুদ রান্নার তেল অক্সিডেশন কমাতে সাহায্য করেন। উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করলে যে অক্সিডেশন বা জারণ প্রক্রিয়া শুরু হয় তার ফলে অনেক ক্ষতিকারক পদার্থ উৎপন্ন হয় যা ক্যান্সার ও পাইরোসিস নামক রোগের সৃষ্টি হয়। তাই কাঁচা হলুদ শিল্পাটাই বেটে বা হলুদের গুঁড়া গুড়া মিশিয়ে রান্না করলে তা রান্নার তেলের অক্সিডেশন কমায় এবং আমাদের ক্যান্সারের সম্ভাবনা কেউ কমাতে সাহায্য করে। ফলে রান্নার জন্য হলুদ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। 

খাদ্য পরিপাকে বা হজমে সাহায্য করে: কাঁচা হলুদ খাদ্য পরিপাকে বা হজমে সাহায্য করে থাকে। কাঁচা হলুদ হজমে গ্যাসের সমস্যার ক্ষেত্রে খুবই উপকারী কাঁচা হলুদের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছেন। কাঁচা হলুদ পাকস্তানি থেকে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে হজমে সহায়তা করে থাকে যার ফলে পাকস্থলী ভালো থাকে এবং হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি করে।

লিভারের জন্য ভালো: হলুদ লিভারের জন্য অনেক উপকারী হলুদ অত্যাবশ্যকীয় এনজাইম গুলির উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে যার ফলে লিভারে বিষাক্ত রক্ত প্রক্রিয়াকরণ করতে এবং রাস করতে সাহায্য করে। এটি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এভাবে হলুদ রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে অন্যতম একটা উপাদান হলো হলুদ ।এটি রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা প্রতিদিন সকাল বেলায় খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেয়ে থাকেন তাদের দেহের ভেতরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে যার প্রভাবে ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিনের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ফলে রক্ত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। তাই আপনি প্রতিদিন সকালবেলা খালি পেটে অবশ্যই কাঁচা হলুদ খেতে পারেন তাহলে এর থেকে অনেক উপকারিতা পাবেন। 

ওজন কমাতে সাহায্য করে হলুদ: বর্তমান সময়ে অনেকেই দেহের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে অনেক টেনশনে আছেন। যারা এই সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন একটি উপাদান গ্রহণের ফলে আপনার ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আর এই একটি উপাদান হল হলুদ। কাঁচা হলুদে থাকা উপাদান গুলো শরীরের মেদ জমতে বাধা দেই এবং দেহের মেয়েটাবলিজম কে বাড়িয়ে দেয় যার ফলে শরীরে বাড়তি মেদ জমার সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়। হলুদের মধ্যে থাকা কার কার্কিউমিন শরীরে ফ্যাট সংরক্ষণকারী কোষগুলি ধ্বংস করে এবং বিপাকীয় প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ফলে সহজে শরীরের ওজন কমানো যায়।

অনিদ্রা দূর করতে: কাঁচা হলুদ অনিদ্রা দূর করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কাঁচা হলুদ মেশানো দুধ ও  এমাইনো এসিড ও টিপটোফেন উৎপন্ন যা অনিদ্রা রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে হলে অনেক রাত হয়ে যায় এবং ঘুম ভালো হয়। তাই অনিদ্র আদর করতে কাঁচা হলুদের ভূমিকা অপরিসীম। 

প্রজননে হলুদ: কাঁচা হলুদে থাকা স্ট্রোজেন হরমোন মেয়েদের প্রজননের সাহায্য করে থাকেন। তাছাড়া মেয়েদের হরমোনের সমস্যার জন্য যদি প্রেগনেন্সিতে সমস্যা হয় তাহলে নিয়ম করে কাঁচা হলুদ দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে হবে তাহলে এর থেকে অনেক উপকারিতা পাওয়া যাবে।

প্রাকৃতিক জীবানু নাশক হিসেবে: কাঁচা হলুদ প্রাকৃতিক জীবাণু নাশক হিসেবেও কাজ করেন কেননা কাঁচা হলুদের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল নামক উপাদান রয়েছে। আর এই এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান সহজে জিবানু ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই পেটের কোন সমস্যা হলে অথবা ত্বকের কোন সমস্যা হলে সহজেই হলুদ ব্যবহার করতে হবে। অনেক সময় খাবারের মাধ্যমে যে কোন জীবাণু পেটে গিয়ে পেটের অনেক সমস্যা করতে পারে। সেক্ষেত্রে কাঁচা হলুদ গুড় অথবা মধু দিয়ে খেলে এর থেকে সহজেই সমাধান পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খাওয়া দরকার। খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে পেটের অনেক সমস্যা দূর করা যায়। 

কাঁচা হলুদের উপকারিতা অনেক যা বলে শেষ করা যায় না। তাই আজ থেকেই সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে করে আপনার অনেক সমস্যা এবং রোগের হাত থেকে মুক্তি পাবেন তাই সুস্থ ও সরল থাকতে এবং সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে রোজ কাঁচা হলুদ খাওয়ার অভ্যাস করুন।

কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম: 

কাঁচা হলুদ স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী তবে কাঁচা হলুদ খেতে অনেক তেতো লাগে। কাচা হলুদের টেস্ট অনেকেই পছন্দ করেনা তাই অনেকের কাছে এটি খাওয়া অনেক কষ্টকর হয়ে যাই। তাই যারা চা খান তারা চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে কাঁচা হলুদের রস খেতে পারেন। যারা কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেতে পারেন তাদের জন্য অনেক ভালো তারা রাতে ২৫০ মিলিগ্রাম করে চিবিয়ে খেতে পারেন কাঁচা হলুদ সাধারণত সকালে ঘুম থেকে উঠে খাওয়ার আধা ঘন্টা আগে খালি পেটে খেতে পারেন তাহলে এর থেকে ভালো ফলাফল পাবেন।

এই পদ্ধতিতে নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেলে হলুদে থাকা বিদ্যমান উপাদান পাওয়া সম্ভব। তবে খেয়াল রাখতে হবে কেউ যাতে বেশি পরিমাণে না খায় কারন এটি বেশি পরিমাণে খেয়ে থাকলে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতি করে। তাই কাঁচা হলুদ যথেষ্ট সতর্কতার সাথে নিয়ম মেনে খেতে হবে তাহলে এটি সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার হবে।

কাঁচা হলুদের অপকারিতা সমূহ:

হলুদ এবং হলুদে থাকা কার্কিউমিন আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।এটি নিয়মিত এবং পরিমাণমতো খেলে এর থেকে অনেক ভালো উপকার পাওয়া যায় তবে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কেও সচেতন হওয়া উচিত হলুদের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর কয়েকটি অপকারিতা ও রয়েছে ।চলুন জেনে নেয়া যাক কাঁচা হলুদের অপকারিতা সমূহ 

আইরন শোষন: অতিরিক্ত হলুদ খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি পরে। শরীর থেকে আয়রন শাসন করে নেই এই হলুদ এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি পরে। হলুদের মধ্যে থাকে কার্কিউমিন এই কার্ফিউমেন ভেঙে ফেরকার্কিউমিন তৈরি হয়। যার কারনে হলুদ শরীর থেকে আয়রন শুষে নাই। 

অ্যানিমিয়া রোগ: হলুদ যেমন আমাদের শরীরে অনেক উপকার করে তেমনি অনেক ক্ষতিও করতে পারে। হলুদের মধ্যে রয়েছে কার্কিউমিন এই কার্কিউমিন আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী, স্বাস্থ্যের দিক থেকেও অনেক উপকারী। আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অতিরিক্ত হলুদ গ্রহণ থেকে বিরত হতে হবে। কেননা বেশি হলুদ খেলে শুধু যে অ্যানিমিয়া রোগ হবে তা নয় এর সঙ্গে অনেক সমস্যা হতে পারে যেমন কিডনি, স্টোন রক্তপাতের সমস্যা, ডায়াবেটিস এসব রোগ ও হতে পারে। তাই আমাদের নিয়ম মেনে কাঁচা হলুদ খাওয়া উচিত। 

ত্বকের সমস্যা: হলুদ খেলে আমাদের শরীরের অনেক রকমের সমস্যা হয় ।তাই বেশি পরিমাণে কাঁচা হলুদ খাওয়া থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বেশি পরিমাণে হলুদ খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি হতে পারে এবং হজমে অনেক সমস্যা হতে পারে। শুধু তাই নয় হলুদ বেশি পরিমাণে খেলে ত্বকের সমস্যা মাথা ধরা এসব লেগেই থাকে। এছাড়াও লিভার বড় হয়ে যাওয়া আলসার প্রদাহ এসব রোগ ও হতে পারে। তাই হলুদ খুব সাবধানতার সাথে খাওয়া উচিত এবং ব্যবহার করা উচিত।

গর্ভাবস্থায়ী এবং বুকের দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে: গর্ভাবস্থায় এবং বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন মহিলাদের ক্ষেত্রে যারা বেশি পরিমাণে হলুদ খাবেন তাদের অনেক সমস্যা হতে পারে। গর্ভাবস্থায় এবং বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন নারীদের ক্ষেত্রে হলুদ এড়িয়ে চলা উচিত কারণ একটি জরায়ু সংকোচনকে উদ্দীপ্ত করে, মাথা ব্যথা করে, মাথা ঘুরে এমনকি ডায়রিয়া সহ আরো অনেক সমস্যা হতে পারে। এইজন্য গর্ভাবস্থায় এবং বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় হলুদ খাওয়া থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

কাঁচা হলুদ রক্ত পাতলা করে: কাঁচা হলুদের শোধনকারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা সহজেই শরীরে রক্তপাত করতে পারে। কাঁচা হলুদের কারণে শরীরের রক্ত অনেক পাতলা হয়ে যায়। রক্ত পাতলা হওয়ার কারণে গর্ভবতী মহিলাদের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। এমনকি আপনার শরীরের যদি এলার্জি কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে কাঁচা হলুদ থেকে বিরত থাকুন।

মুখে কাঁচা হলুদের ব্যবহার:

সঠিক উপায় কাঁচা হলুদ দিয়ে রূপচর্চা করতে হলে অবশ্যই কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে এবং এর সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান রাখতে হবে। কাঁচা হলুদের পরিমাণ মতো অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এন্টিফাঙ্গাল এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান পেতে হলে কাঁচা হলুদ ব্যবহারে পরিমিত পরিমাণে এবং ব্যবহারের সঠিক সময় জেনে রাখা উচিত। তা না হলে মুখে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করলে উপকারের চাইতে অপকার বেশি হবে বিশেষ করে গ্রীষ্ম ঋতুতে রোদে পড়ে তাদের অনেক সমস্যা হতে পারে । তাই প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতে পারেন এতে অনেক উপকারিতা পাবেন।

কমলীয়তা: ত্বকের কমলীয়তা আনতে কাঁচা হলুদের ভূমিকা অপরিসীম। ত্বক কোমল এবং উজ্জ্বল রাখতে নিয়মিত কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। শুধু কাঁচা হলুদ নয় এর সাথে ময়দা, দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন তারপর এটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট মতো রেখে ধুয়ে ফেলুন তাহলে আপনার ত্বক কোমল এবং উজ্জ্বল দেখাবে। 

ত্বকের প্রদাহ কমাতে: ত্বকের প্রদাহ কমাতে মুখে কাঁচা হলুদের ব্যবহার অত্যন্ত উপকারী। যাদের ত্বক খুব সেনসিটিভ একটু জ্বালাপোড়া করে, ত্বক লালচে হয়ে যায় তাদের ক্ষেত্রে হলুদ খুব উপকারী একটি উপাদান। এক্ষেত্রে এক চা চামচ হলুদ বাটার সঙ্গে এক চা চামচ এলোভেরা জেল, এক চা চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন এবং মুখে আলতো করে লাগিয়ে নিন। এরপর ১০ মিনিট রেখে ধুযে ফেলুন। এতে করে ত্বকের প্রদাহ কমতে হলুদ সহায়তা করে। 

চোখের নিচে কালো দাগ: অনেকের চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যায় এই কালো দাগ দূর করার জন্য কাউকে কাঁচা হলুদ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে হলুদ বাটার সঙ্গে দুই চা চামচ টক দই এক চা-চামচ চালের গুড়া এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিতে হবে এরপর মিশ্রণটি কয়েকদিন পরপর মুখে লাগালে চোখের নিচে কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। এভাবে কাঁচা হলুদের মিশ্রণ তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।

চর্মরোগ সারাতে: চর্মরোগ সারাতে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে কাঁচা হলুদ বাটার সঙ্গে কোচি নিমপাতা ভালো করে বেটে মিশিয়ে নিতে হবে পরপর কয়েকদিন এভাবে মিশ্রণটি লাগালে নিশ্চিতভাবে চর্মরোগ সেরে যাবে। চর্ম রোগ ছাড়া যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে তারা সকালে খালি পেটে এক টুকরো হলুদ চিবিয়ে খেলে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পান করুন। এভাবে কয়েক সপ্তাহের নিয়ম মেনে খেলে লিভারের সমস্যা কমে যাবে।

ব্রণ দূর করতে কাঁচা হলুদ: কাঁচা হল ত্বকের জন্য অনেক উপকারি। এটি মানুষ প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার করে আসছে তাই ত্বকে সমস্যায় কাঁচা হলুদের ভূমিকা অপরিসীম। যাদের মুখে ব্রণের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত কাঁচা হলুদের সঙ্গে নিম পাতা মিশিয়ে পরপর কয়েক সপ্তাহ লাগাতে পারেন তাহলে আস্তে আস্তে ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং তখন অনেক সুন্দর হয়ে যাবে। ত্বকে হলুদে ভাব আসবে দেখতে অনেক সুন্দর দেখা যাবে।

মুখে কাঁচা হলুদের উপকারিতা সমূহ:

মুখে কাঁচা হলুদ ব্যবহারে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায় যার কারণে প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ কাঁচা হলুদ রূপচর্চা তথা বিভিন্ন উপকারের জন্য কাঁচা হলুদ ব্যবহার করে থাকে। কাঁচা হলুদে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিসেপটিক উপাদান রয়েছে যা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আনতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ত্বক সবার একই রকম হয় না একেক জনের ত্বক এক এক রকম হয়। যেমন কারো ত্বক শুষ্ক, কারো রুক্ষ কারো তৈলাক্ত।তাই এ সব ত্বকের উপকারিতা পেতে নিয়মিত কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতে হবে। মুখে কাঁচা হলুদের উপকারিতা সমূহ হলো 

  • কাঁচা হলুদ মুখের দাগ ও ত্বক কে দাগহীন করতে সাহায্য করে। এজন্য কাচা হলুদ এবং মধু একসাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিয়মিত মুখে মাখতে হবে। 
  • নিয়মিত কাঁচা হলুদ ব্যবহারের ফলে ত্বকের প্রদয় সমস্যা দূর করা সম্ভব হয় । ফলে ত্বক অনেক সুন্দর হয়ে যায়। 
  • গ্রীষ্মের সূর্যের ক্ষতিকারক রশি থেকে রক্ষা পেতে কাঁচা হলুদের ভূমিকা অপরিসীম। নিয়মিত কাচা হলুদ ব্যবহার এর ফলে ত্বকে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে রক্ষা করা সম্ভব এজন্য নিয়মিত কাচা হলুদ ব্যবহার করা উচিত।
  • কাঁচা হলুদে থাকে কার্কিউমিন, আন্টি অক্সিজেন গুণ এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকে বয়সের ছাপ থেকে বাচাই। তাই বিভিন্ন ক্রিমের প্রয়োজনীয় উপাদানের সাথে হলুদ ব্যবহার করা হয়।
  • কাঁচা হলুদের কার্কিউমেন এন্টিঅক্সিডেন্ট অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে যা ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। এজন্য এটি মুখে ব্যবহার করলে মুখের বিভিন্ন সমস্যার যেমন ব্রণের সমস্যা দূর করতে কার্যকরে ভূমিকা পালন করে এছাড়াও ত্বক চুলকায় তোকে ফুসকুড়ি ইত্যাদি দূর করতেও সহায়তা করে। 
  • ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে কাঁচা হলুদ । তাই প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ রূপচর্চার জন্য কাঁচা হলুদ ব্যবহার করত। তাই ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে কাঁচা হলুদ বাটার সাথে মিমের পাতা মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। 
  • গায়ে বসন্ত, হাম বা চুলকানির দাগ থাকলে কাঁচা হলুদ ও নিম পাতা একত্রে বেটে নিয়মিত ব্যবহার করলে শরীরের দাগ উঠে যাবে এবং ত্বক ফর্সা হবে।

কাঁচা হলুদ অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান এটি শুধু শরীরের জন্য নয় এটি ত্বকের ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল কমল মসৃন করে গড়ে তুলতে সাহায্য করে ।তাই আমাদের মুখে ব্যবহার করে উপকারিতা পেতে হলে নিয়মিত কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতে হবে এবং নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে তা না হলে অনেক সমস্যা হতে পারে।

চুলে কাঁচা হলুদের ব্যবহার:

কাঁচা হলুদের রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক এন্টি ব্যাকটেরিয়াল  ও আন্টি ইনফ্লেমেন্টরি উপাদান যা আমাদের শরীরের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী এবং ছাড়াও শরীরে অনেক উপকার করে থাকে। অনেকেই আছেন যারা মুখে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করে মুখের ব্রণের সমস্যা, ব্রণের দাগ, মুখে তেলতেলে ভাব, ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে পারেন। কাঁচা হলুদ শুধু মুখের সমস্যা ও মুখের উজ্জ্বলতায় বৃদ্ধি করে না এর সাথে সাথে মাথার এবং চুলের ও অনেক উপকার করে থাকে। কাঁচা হলুদ ব্যবহার করে চুলের অনেক সমস্যা দূর করা যায়। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক চুলে কাঁচা হলুদ এর ব্যবহার সম্পর্কে ।

কাচা  হলুদে রয়েছে জীবাণু নাশক উপাদান ও পরিষ্কার কারক উপাদান। এটি ব্যবহার করলে আমাদের শরীরে অনেক জীবনু ধ্বংস হয়ে যায় আর তাই খুশকি মোকাবেলা করতে কাঁচা হলুদ ব্যাপক কাজ করে। খুশকি থেকে মুক্তি পেতে হলে কাঁচা হলুদ বাটার সাথে কিছু পরিমাণ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন তারপর মাথার ত্বকে মেখে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রাখুন এবং শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তাহলে খুব সহজে আপনার মাথার খুশকি দূর হয়ে যাবে 

কাঁচা হলুদ চুল পড়া সমস্যা থেকে আমাদের মুক্তি দিয়ে থাকেন। চুল পড়া কমাতে নারিকেল তেলের সাথে হলুদ বাটা মিশিয়ে ভালোভাবে মেসেজ করতে পারেন এভাবে আধাঘন্টা বা এক ঘণ্টা রেখে মাথা ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুল পড়া ধীরে ধীরে কমে গেছে।

মাথার বিভিন্ন সমস্যার দূর করার পাশাপাশি এটি চুলের বৃদ্ধিতেও অনেক সহায়তা করে। এক্ষেত্রে আপনাকে কাঁচা হলুদ এর রস এর সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করতে থাকুন। নির্মিত ব্যবহার করলে মাথার চুল ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে 

চুলের উজ্জ্বলতা ও ঝলমলে চুল পেতে আপনার নিয়মিত কাঁচা হল ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে হলুদের সাথে ডিমের কুসুম মিশে একটি পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে এবং এই পেস্ট সপ্তাহের অন্তত একদিন মাথায় ব্যবহার করতে হবে হলে আপনার চুল ঝলমলে সুন্দর এবং চুলে  সিল্কি ভাব আসবে।

প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ রূপচর্চায় কাঁচা হলুদ ব্যবহার করে থাকেন । এটি রান্নায় যেমন স্বাদ বাড়ায় তেমনি ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। কাঁচা হলুদ ত্বক ছাড়াও মাথার বা চুলের যত্নেও বেশ উপকারী। কাঁচা হলুদ থেকে ভালো উপকারিতা পেতে নিয়মিত কাঁচা হলদ ব্যবহার করুন।

কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয়:

কাঁচা হলুদ আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী একটি উপাদান। এটির মধ্যে রয়েছে কার কেউ মেন অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান এবং অ্যান্টি এ অক্সিডেন্ট যা ত্বকের কমলীয়তা এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারে। এটি ত্বকের সকল সমস্যা দূর করে বশজনিত সমস্যা দূর করতে সক্ষম হয় কাঁচা হলুদ কাঁচা হলুদ মুখে ব্যবহারের ফলে যাদের মুখে বলে রাখা। কাঁচা হলুদ দিয়ে রূপচর্। মত দাগ দেখা যায় সেগুলো দূর করে ত্বককে টানটান ভাব তবে উজ্জ্বলতা বসন্ত সমস্যা সহজে জোর করে ফেলে।

আরো পড়ুন: ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম

আপনি যদি রূপচর্চা করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। কেননা রূপচর্চা কাঁচা হলুদ ব্যবহার অংশীকার্য। গোসল করার করার আগে সামান্য পরিমাণ কাঁচা হলুদ বাটা তোকে ব্যবহার করে শুকিয়ে নিন এবং কিছুক্ষণ পর গোসল করে ফেলুন দেখবেন আপনার শরীরে উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে। প্রতিদিন কাঁচা হলুদ বেটে ব্যবহার করলে তখন অনেক সুন্দর হবে এবং মুখে ব্রণ কমে যাবে। কাঁচা হলুদে শসা রস লেবুর রস একসঙ্গে বেটে মুখে ব্যবহার করলে তাকে ব্রণ হয়না এবং ব্রণের দাগও ভালো হয়ে যায় 

কাঁচা হলুদ প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ ব্যবহার করে আসছে কাঁচা হলুদ মানুষ আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করতা। এটি ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং ত্বকের সমস্যা সহজেই দূর করতে পারে। তাই ত্বক সুন্দর রাখতে তোকে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে এবং ত্বক ফর্সা রাখতে কাঁচা কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতে পারেন

কাঁচা হলুদের ফেসপ্যাক সমূহ :

কাঁচা হলুদ রূপচর্চা ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। কাঁচা হলুদ রান্নায় যেমন প্রয়োজনীয় তেমনি ত্বকের জন্য এটি অনেক উপকারী তাই এটি অনেকে অনেক ভাবে ব্যবহার করে থাকেন অনেকে বাজার থেকে এর ফেসপ্যাক কিনে ব্যবহার করেন এতে কিন্তু ভালো উপকারিতা পাওয়া যায় না কারণ এতে অনেক ভেজাল মিশানো থাকে। তাই আপনি চাইলে বাড়িতে বসে এর ফেসপ্যাক বানিয়ে আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। তাই কয়েকটা হলুদের ফেসপ্যাক নিয়ে আলোচনা করা হলো 

হলুদ মধু ও দুধ মিশিয়ে ফেসপ্যাক: এক চা চামচ হলুদ বাটা এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ কাঁচা দুধ নিয়ে একসাথে মিক্সড করে ফেসপ্যাক তৈরি করে নিন। এই ফেসটা একটি মুখে মেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে শুকিয়ে নিন তারপর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন এটি ব্যবহারে তো কোমল ও মসৃণ হবে এবং ত্বকের মৃত কোষ গুলো দূর করতে সহায়তা করবে। 

হলুদ মধু এবং লেবুর রস এর ফেসপ্যাক: এই ফেসপ্যাকটি তৈরি করতে পরিমাণমতো হলুদ আধা চা চামচ লেবুর রস এক চা চামচ পরিমাণ মধু মিশিয়ে তৈরি করতে পারেন। এই ব্যক্তি মুখে লাগিয়ে 15 মিনিট রেখে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ব্যবহারে আপনার তো কমনীয়তা ফিরে পাবে এবং ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করবে। 

হলুদ গোলাপজল ও বেসনের ফেসপ্যাক: এক টেবিল চামচ হলুদ বাটা 2 চা চামচ বেসন এবং পরিমাণ মতো গোলাপজল মিশিয়ে ফেসপ্যাকটিভ তৈরি করতে পারেন। এটি ত্বকে লাগিয়ে 15 মিনিট পর ধরে ফেলতে হবে এভাবে এটি ব্যবহার করলে তখন জল ও মসৃণ হবে তাকে ব্রণের সমস্যা দূর হবে এবং ত্বক লাবণ্যময় হবে। 

হলুদ  এভোকেডো হলুদ বাটার সাথে এভোকাড ো এমন এক চা চামচ পরিমাণ টক দই মিশিয়ে ফেসপ্যাক্টর তৈরি করে নিতে হবে এটি মুখে রেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পার ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ব্যবহারে তো আপ উজ্জ্বলতা ফিরে পাবে তখন তার অন্যতায় ফিরে আসবে এবং তৎক্ষণিক ত্বক অনেক সুন্দর হবে । 

সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে কি হয়:

সকালে কাঁচা হলুদ খেলে এর থেকে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায় বিশেষজ্ঞদের মতে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খান কিন্তু হলুদের গুঁড়ো নয় কেননা এগুলো র সাথে অনেক ভেজাল থাকে জাগনে এর থেকে কোন উপকার পাওয়া যাবে না তাই এর থেকে উপকার পেতে হলে আমাদের কাঁচা হলটি খেতে হবে। রোজ সকালে যদি এক টুকরো কাঁচা হলুদ খাওয়া যায় তাহলে এর থেকে নানা উপকার পাওয়া যাবে। শরীর সুস্থ রাখতে কাঁচা হলুদের কোন বিকল্প নেই সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে রক্ত পরিষ্কার থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে যার কারণে শরীরে সহজে কোন রোগ বাসা বাঁধতে পারে না। 

বিজ্ঞানীরা বলছেন যে রোজ সকালে ২৫০ মিলিগ্রাম হলুদ খেতে তবে সকালে ও রাতে দুই বেলাই ২৫০ মিলিগ্রাম করে হলুদ খাওয়া যেতে পারে সকালে খালি পেটে হলুদ খাওয়ার পর আধা ঘন্টা কিছু না খাওয়াই ভালো। তাহলে এর থেকে উপকার পাওয়া যাবে অন্যদিকে রাতে ঘুমানোর আগে দুধের সাথে হলুদ মিশেও খেতে পারেন তবে খেয়াল রাখবেন এর থেকে বেশি পরিমাণ হলুদ খাবেন না এতে শরীরে অনেক ক্ষতি হতে পারে 

যাদের আর্থারাইটিসের সমস্যা আছে তারা কাঁচা হলুদ নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে উপকার পাবেন শুধু তাই নয় খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে অল্প বয়সে ফুরিয়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে না। বয়স জনিত নানা সমস্যা দূরে রাখতে এই কাঁচা হলুদ উপাদানটি বেশি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই সকল শারীরিক সমস্যা দূরে রাখতে রোজ খালি পেটে কাঁচা হলুদ খান। 

হার্ট ভালো রাখতে নিয়মিত কাঁচা হলুদ খালি পেটে খেতে পারেন নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেলে ভারতে বেশ কিছু সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। কাঁচা হলুদ শরীরের রক্তের  কলেজ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহায়তা করে। কাঁচা হলুদ পাকিস্তানি তে গিয়ে পাকিস্তানী পরিষ্কার করে সহায়তা করে হলে শরীরে হার্টের মতো সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়নি।

কাঁচা হলুদ ও নিমের পাতার ফেসপ্যাক: কাঁচা হলুদ বাতাস সাথে নিমের পাতা একসাথে বেটে এতে একটি তৈরি করতে পারবেন। এটি মুখে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে তাহলে মুখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চুলকানি ব্রণের সমস্যা ইফতারের দূর করতে সাহায্য করে

গর্ভাবস্থায় হলুদ খাওয়া কি নিরাপদ: 

গবেষণায় দেখা গেছে যে র্ভাবস্থায় কাঁচা হলুদ বা শুকনো হলুদ খাওয়া নিরাপদ। মনে রাখা উচিত যে হলুদ খাওয়ার সাথে প্রাথমিক প্রসাব ও গর্ভাবস্থায় ক্ষতির কোন সম্ভাবনা নেই তবে বেশিরভাগ চিকিৎসকে বিশ্বাস করেন যে গর্ভবতী মহিলাদের মূল উপাদান হিসেবে হলুদযুক্ত ক্যাপসুল সাপ্লিমেন্ট গুলি থেকে বিরত থাকা উচিত । কেননা হলুদে থাকা কার কেউ নেই এর একটা বড় অনুপাত গর্ভবতী মহিলাদের গ্রহণের ফলে শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা পরিবর্তন হতে পারে এর ফলে  জ জরায়ু সংক্রমণ ও রক্তপাত হতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় সম্পৃক্ত এক পথ্যে দেখা যায় যে ডাক্তাররা গর্ভবতী মহিলাদের অল্প পরিমাণে হলুদ খাওয়ার পরামর্শ দেন 

গর্ভাবস্থায় হলুদ যুক্ত দুধ খাওয়ার প্রভাব: 

গর্ভাবস্থায় হলুদযুক্ত দুধ খাওয়া নিরাপদ যদি তার সাধারণ পরিমিত পরিমাণে খাওয়া হয়। অল্প পরিমাণে দুধে এবং অল্প পরিমাণে তরকারিতে হলুদ গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অনেক উপকারী কেননা এতে আন্টি এমপ্লয়মেন্ট এর সুবিধা সরবরাহ করতে পারে। এটি স্বাস্থ্যকর ডায়েটের অংশ হিসেবে পরিমিত পরিমাণে হলুদ খাওয়া যায়। হলুদ হলুদ খেলে পাকস্থলী প্রদাহ কমে হলে হজমে সহায়তা করে তাই গর্ভবতী মহিলাদের জন্য হলুদ এবং দুধ বা হল যত দুধ খাওয়া অনেক উপকারী।

তবে বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে গর্ভবতী মহিলাদের উচ্চ পরিমাণে হলুদ খাওয়া উচিত নয় কারণ এটি থেকে গর্ব অবস্থায় জনিত ক্ষতি এবং অকাল প্রসাবের দিকে পরিচালিত হওয়ার সম্ভাবনা ঝুঁকি রয়েছে তাহলে গর্ভবতী মহিলাদের অনেক সমস্যা হতে পারে 

গর্ভাবস্থায় কিভাবে হলুদ যুক্ত দুধ খাবেন: 

গর্ভাবস্থায় কিভাবে হলুদ যুক্ত দুধ খাবেন সে উপায় গুলি একটু দেখে নেয়া যাক।গরম দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে নিন । একটি স্বাস্থ্যকর্মী শ্রম তৈরি করতে এর সাথে আরও এক চিমটি মরিচ এলার্ট দারুচিনি এবং আদা যোগ করে খেতে পারেন ।হলুদের গুঁড়া রান্না করার ডিম শস্য এবং সবজিতে ছিটিয়ে নিও খেতে পারেন । হলুদ যুক্ত দুধের চা তৈরি করেও খেতে পারেন।

আরো পড়ুন: চিয়া সিডের উপকারিতা এবংঅপকারিতা 

উপসংহার: 

কাঁচা হলুদের অনেক ঔষধি গুনাগুন থাকাই কাঁচা হলুদের উপকারিতা অপকারিতা এবং মুখে কাঁচা হলুদের ব্যবহার করলে ত্বকের অনেক সমস্যা দূর হয়ে যায়। নিয়মিত প্রতিদিন কাঁচা হলুদ খেলে আপনার হার্ট ভালো থাকে স্কিনের তার অন্য ধরে রাখতে সাহায্য করে ব্রেন ভালো কাজ করে খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে এই কাঁচা হলুদ । এমনকি শরীরের সুগার কে নিয়ন্ত্রণে রাখে এই কাঁচা হলুদ হলে শরীরের ডায়াবেটিক সহজে বাসা বেধতে পারে না। তাই কাঁচা হলুদ থেকে এসব গুনাগুন পেতে হলে নিয়মিত কাঁচা হলুদ ব্যবহার করুন। 

তাই প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকলে অবশ্যই কাঁচা হলুদের উপকারিতা অপকারিতা এবং মুখে ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। কেননা আজকের পোস্টটিতে হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা  এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আজকের পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং এই ধরনের পোস্ট নিয়মিত পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকবেন।এবং নিয়মিত ভিজিট করবেন।

 

জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন উত্তর সমূহ :

১। হলুদ বেশি খেলে কি ক্ষতি হতে পারে? 

উত্তর: হলুদ বেশি খেলে পেট খারাপ ডায়রিয়া মাথা ব্যথা মাথা ঘোরা সমস্যা হতে পারে। 

২। কাঁচা হলুদ খেলে কি উপকার পাওয়া যায়? 

উত্তর: প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে ক্যান্সারের সমস্যা,হার্টের সমস্যা দূর করেন এমনকি পাকস্থলী পরিষ্কার করে হজম ও সহায়তা করে।

৩। কাঁচা হলুদ আর মধু খেলে কি হয়? 

উত্তর: কাঁচা হলুদ আর মধু খেলে লিভারের সমস্যা দূর হয়, খালি পেটে খেলে কৃমির সমস্যা দূর হয় এবং হজম শক্তি উন্নতি হয়।  

৪। কাঁচা হলুদ খেলে কি হাড়ের সমস্যা দূর হয়?

উত্তর: কাঁচা হলুদ খেলে হাড়ের ব্যথা দূর হয় এবং হাড় ভেঙে গেলে কাঁচা হলুদ বেটে লাগালে ভাঙার জোড়া লাগবে সাহায্য করেন।

৫।কাঁচা হলুদ ছেলে কি এলার্জি ভালো হয়? 

উত্তর: কাঁচা হলুদ খেলে দেহের অভ্যন্তরের প্রদাহ দূর হয় বাত ব্যথা ভালো হয় এলার্জি সংক্রমণ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রয়েল; আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url