চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা-গর্ভাবস্থায় চিয়া সিট খাওয়ার নিয়ম

স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে চিয়া সিড কে পুষ্টিকর খাবার বা সুপার ফুড হিসেবে গণ্য করা হয়। এই জন্য সকলেরই জানা উচিত যে চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম । পুষ্টিকর খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চিয়া সিট। প্রাচীনকালে চিয়া সিডকে সোনার চেয়েও অনেক মূল্যবান মনে করা হতো।
কেননা চিয়া সিড স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী তাই আমাদের প্রত্যেকেরই জানা উচিত চিয়া সিড এর উপকারিতা এবং চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্ক । চিয়া সিড সম্পর্কে জানতে পারলে আমাদের প্রত্যেকেরই অনেক উপকার হবে, তাই প্রত্যেকেরই চিয়া সিড সম্পর্কে জানা উচিত। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক চিয়া সিড সম্পর্কে

পেজ সূচিপত্র: চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা

চিয়া সিড : চিয়া সিড এর উপকারিতা সমুহ

চিয়া সিড মরুভূমিতে জন্মানো সালভিয়া ইসপানিকা উদ্ভিদের বিজ। এই বিজের আদি জন্মস্থান সেন্ট্রাল আমেরিকা এবং সেখানকার প্রাচীন আদিবাস অ্যাজটেক জাতির খাদ্য তালিকায় এই বিজ থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় অ্যাজটেক জাতির মানুষ চিয়া সিটকে সোনার থেকেও অনেক মূল্যবান মনে করতো এবং তারা বিশ্বাস করতো যে এটা তাদের শক্তি ও সাহস যোগাবে। সে সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার ছিল চিয়া সিড। ঐ সময তারা চিয়াসিড ব্যবহার করত ঔষুধ হিসেবে, খাবার হিসেবেে এবং রুপচর্চায়।

চিয়া সিড দেখতে অনেকটা তোকমা দানার মত তবে এই বীজ তোকমা দানা থেকে আকারে ছোট ও তিলের মতো সাদা কালো ও বাদামী রঙের হয়ে থাকে। তোকমা দানা থেকে চিয়াসিডে যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, আইরন, ম্যাগনেসিয়াম ও ফ্যাটি এসিডের পরিমাণ টাও অনেক বেশি থাকে। চিয়া সিড পানিতে ভেজালে পানি শোষণ করে এবং ১২ গুন পর্যন্ত ফুলে ওঠে এই চিয়া সিট কে সুপার ফুড বলার অন্যতম কারণ হচ্ছে মানব শরীরের জন্য  এটি অনেক উপকারি ।

চিয়া সিড এর উপকারিতা সমুহ:

পুষ্টিকর খাবার গুলোর মত অন্যতম হচ্ছে চিয়া সিড। প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান থাকে এই চিয়া সিড এ। বীজ জাতীয় যেকোনো খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান, ওমেগা -৩, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ক্লোরজেনিক অ্যাসিড, ক্যাফেড এসিড ,এবং দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক  চিয়া সিড এর বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে:
 
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: চিয়া সিড একটি পুস্টিকর খাবার বা সুপার ফুড হিসেবে পরিচিত। চিয়া সিডে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ,ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম রয়েছে ।পুস্টিগুন গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অ্যান্টি অক্সিডেন্ । আর এই চিয়া সিড এ প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকাই এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। চিয়া সিড শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

মস্তিষ্কের জন্য: চিয়া সিড এ ওমেগা থ্রি, ফ্যাটি ফ্যাটিঅ্যাসিড, থাকে যা মস্তিষ্কের জন্য অনেক উপকারী। চিযাসিড স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে ।তাই প্রতেকেরই খাদ্য তালিকায় নিয়মিত চিয়াসিড রাখা উচিত।

হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য :চিয়া সিডে প্রচুর পরিমানে পুস্টি উপাদান রয়েছে চিয়া সিড এ প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা হারের জন্য অনেক উপকার। চিয়া সিড হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।তাই হাড়ের ঘনত্ব ও হাড় গঠনে চিয়া সিডের উপকারিতা অনেক । তাই আমাদের নিয়মিত চিয়াসিড খাওয়া উচিত।

ক্যান্সার প্রতিরোধে:চিয়া সিড প্রচুর পরিমানে পুস্টি রযেছে । যার মধ্যে অন্যতম হলো এন্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের জন্য অনেক উপকারি  চিয়াসিড এ থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে ।এর জন্য আমাদের খাদ্য তালিকায় নিয়মিত চিয়াসিড রাখা উচিত ।ফলে শরীর স্বাস্থ্য সুন্দর হবে এবংক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

হজম শক্তি: হজম শক্তি বৃদ্ধিতে চিয়াসিডের ভূমিকা অপরিসীম। চিয়া সিড  এ দ্রবণীয় ও অদ্রবনীয় উভয় খাদ্য তালিকায় ফাইবার নামক একটা চমৎকার উৎস রয়েছে আর এই ফাইবার নিয়মিত অন্রের গতিবিধি বজার রাখতে এবং স্বাস্থ্যকর পাচনতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য । চিয়া সিড পরিপাকতন্ত্রকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর হজমের জন্য সঠিক হাইড্রেশন অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে । আপনি যদি হজম সমস্যা ভূগেন তাহলে নিয়মিত চিয়া সিড খান চিয়া সিড এ প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যার কারণে শরীরে হজম শক্তি উন্নত করে,নিয়মিত মলত্যাগ করতে সাহায্য করে ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দুর করা সহজ হয়। চিয়া সিড আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত চিয়া সিড অন্তর্ভক্ত করুনতাহলে আপনার হজম সংক্রান্ত যে কোন সমস্যার সমাধান করেহজমের উন্নতিতে  সহায়তা করবে।

হৃদপিন্ডের সুস্বাস্থ্যের জন্য:হার্টের সুস্থতায় চিয়া সিড ভূমিকা অপরিসীম।  চিয়া সিড ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে এই জন্য এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে । হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য চিয়াসিড অনেক উপকারী।

ওজন কমাতে:  চিয়া সিড ওজন কমাতে সহায়তা করে। চিয়া সিড খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে ফলে খুদা কমে যায় ফলে যে কোন অতিরিক্ত ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ বাধা দেয় । যার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। চিয়া সিড থাকা দ্রবণীয় ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে ধীরগতি করে দেয় যার কারণে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে থাকে। চিয়া সিড এ রয়েছে ফাইবার ও প্রোটিন উপাদান সমৃদ্ধ উপাদান যা রক্তের শর্করার মাত্রার নিয়ন্ত্রণ স্বাভাবিক রাখে। এছাড়াও চিয়া সিড রয়েছে ওমেগা থ্রি, ফাইবার ,ফ্যাটি অ্যাসিড ,প্রোটিন খনিজ সমৃদ্ধ খাবার যা আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও চিয়া সিড রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সহ স্বাস্থ্যকর চর্বি উপাদান নিয়ন্ত্ররণ থাকবে । তাই চিয়া সিড খেলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং শরীর ফিট থাকবে।

ত্বক ও চুলের জন্য: চিয়া সিড ত্বক ও চুলের জন্য অনেক উপকারী।  চিয়া সিড এ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় এটি ত্বকের সুস্থতা দূর করতে সাহায্য করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে ও  সহায়তা করে।

ডায়াবেটিস এর জন্য: চিয়া সিড ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।চিয়া সিড এর উপকারিতা অনেক । চিয়া সিড রক্তে শর্করার র মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে সহজে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয় ।বর্তমানে ডায়াবেটিস এর রোগী অনেক দেখা যায় যার কারনে খদ্য তালিকায় নিয়মিত চিয়া সিড রাখা প্রয়োজন।
 
প্রোটিনের মাত্রা: চিযা সিডে রয়েছে  মুরগির ডিম থেকে তিনগুণ বেশি উচ্চ মাত্রার প্রোটিন যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং উপকারী। চিয়া সিড নিয়মিত খেলে শরীরের বিভিন্ন পুস্টির  চাহিদা পুরণ হয়ে যায়। ফলে প্রোটিনের ঘাটতি পড়েনা।
 
হ্দরোগের ঝুকি কমায়: চিয় সিডে প্রচুর পরিমানে ওমেগা ৩ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা ট্রাইগ্লিসারাইড ও রক্তের কোলেস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রন করতে সহায়তা করে। রক্তে কোলেস্টেরল এর মাত্রা যত নিয়ন্ত্রনে থাকবে আমাদের হৃদপিন্ড তত বেশি সুস্থ ও সবল থাকবে। তাই হৃদপিন্ডের কার্যকারিতা বাড়াতে আমাদের খাদ্য তালিকায় নিয়মিত চিয়াসিড রাখতে হবে।
 
এসিডিটির সমস্যা: চিয়সিড এ প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে যা সহজেই হজমে সাহায্য করে এবং পাকিস্থলি পরিস্কার রাখতে সহায়তা করে।  চিয় সিড শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে ফলে সহজেই এসিডিটির সমস্যা দূর করা যায়।
 

চিয়া সিড এর অপকারিতা সমূহ:

 
চিয়া সিডএর যেমন অনেক উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর অনেক অপকারিতা হয়েছে। চিয়া সিড অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর যে  চিয়া সিড স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এটি শরীরের যেমন অনেক উপকার করে তেমনি কিছু ক্ষতিও করে তাই এর উপকারিতার পাশাপাশি আমাদের অপকারিতা গুলো জেনে রাখা উচিত। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক চিয়া সিড এর অপকারিতা সমূহ
 
ক্যান্সারের ঝুঁকি: কয়েকজন বিজ্ঞানীর পরীক্ষায় দেখা গেছে, যে  চিয়া সিড ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সার বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে সুতরাং চিয়া সিড সীমিত পরিমানে ব্যবহার করা উচিত না হলে ক্যান্সারের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
 
ওজন কমা: চিয়া সিড ওজন কমাতে সাহায্য করে তাই অতিরিক্ত পরিমাণে  চিয়া সিড খেলে শরীরের অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমে যেতে পারে ফলে অনেক সমস্যা হতে পারে। তাই আমাদের উচিত পরিমাণ মতো  চিয়া সিড খাওয়া
 
রক্তচাপ:  চিয়া সিড শরীরের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করেন ফলে চিয়া সিড বেশি পরিমাণে খেলে রক্তচাপ বেশি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ফলে আমাদের স্বাস্থ্য ঝুকি বেড়ে যায়। তাই চিয়াসিড বেশি পরিমানে খাওয়া উচিত নই।
 
পেটের সমস্যা: চিয়া সিড বেশি পরিমাণে খেলে আমাদের পেটে অনেক সমস্যা হতে পারে কারণ প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই পরিমাণ মতো  চিয়া সিড খাওয়া উচিত।
 
গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে: গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিয়া সিড খাওয়া উচিত কেননা এটি সহজে শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করে।
 

চিয়াসিড এর পুষ্টিগুণ:

 
চিয়া সিড প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি গুনাগুন রয়েছে। বর্তমান সময়ে অনেক মানুষই স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক সচেতন। আর এই সচেতনতা করুণা কালীন জটিলতার পর থেকেই সচেতনতা দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। তাই মানুষ প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার নিয়ে মানুষের সচেতনতা বাড়ছে । স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের খাদ্য তালিকায় চিয়া সিট এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে পড়েছে। এখন শহরে গ্রামেসকল ধরনের মানুষচিয়া সিড খেয়ে থাকেন।তাই চলুন জেনে নেয়া যাক চিয়াসিডের পুষ্টি গুনাগুন সম্পর্কে:

এটি হচ্ছে একটি  বীজ জাতীয় খাবার আর বীজ জাতীয় যে কোন খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্লোরোজেনিক এসিড, ট্র্যাফিক অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম ,ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম  এছাড়াও রয়েছে দ্রবণীয় ও  অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ ।

পুষ্টিবিদ ডক্টর সৈয়দা সিরিনা স্মৃতি বলেন যে, চিয়া সিড অনেক পুষ্টিকর খাবার এতে আছে দুধের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম, কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি, পালং শাকের চেয়ে তিনগুণ বেশি আয়রন, কলার চেয়ে দ্বিগুন পটাশিয়াম, শ্যামল মাছের চেয়ে ৮ গুণ বেশি ওমেগা থ্রি, মুরগির ডিম থেকে তিনগুন বেশি প্রোটিন থাকে। তাই আমাদের নিয়ম করে খাদ্য তালিকায় চিয়া সিড রাখা উচিত।

গর্ভবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম: 


চিয়া সিড একটি পুষ্টিকর খাবার এবং জনপ্রিয় সুপারফুড হিসাবে পরিচিত। চিয়া সিড এর নির্দিষ্ট কোন স্বাদ, গন্ধ নেই। তাই এটি যে কোন খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। যদিও এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই তবে গর্ভবতী মহিলাদের  যে কোন কিছু খাওয়া সম্পর্কে সর্বদা সচেতন থাকা উচিত।
চিয়া সিড এ প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা গর্ভাবস্থায় শিশুর মধ্যে সঠিক মস্তিষ্কের বিকাশ ভিত্তিতে সহায়তা করে গর্ভাবস্থায় যারা সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন না তারা ওমেগা থ্রি ফেটি অ্যাসিড বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন ।

প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকায় এটি গর্ভাবস্থায় শিশুর সঠিক ভাবে হাড় এবং দাঁত বিকাশের জন্য অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। প্রতি এক টেবিল চা চামচ চিয়া সিড এ প্রায ৭৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য অনেক উপকারী ।

চিয়া সিড এ জিংক, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ,সেলেনিয়াম আর অন্যান্য পুষ্টি রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা গর্ভাবস্থায় কয়েকটি সংক্রান্ত ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করে যেমন ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হৃদরোগ, ব্রণ এর দুর্বলতা ইত্যাদি ।

গর্ভাবস্থায় অনেকের ডায়েট এর জন্য চিয়া সিড খেয়ে থাকেন ।

পানির সাথে মিশিয়ে: চিয়া সিড পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়া হয় । এটি রাত্রে এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ চিয়া সীড নিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খেতে পারেন। আবার অনেকে এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ চিয়া সিড মিশিয়া আধা ঘন্টা অথবা একঘন্টা ভিজিয়ে রেখে খেয়ে ফেলেন। 

কাঁচা চিয়া সিড: চিয়া সিড যে শুধু পানিতে ভিজেই খাওয়া যায় এমন না অনেকে এটি জলখাবার হিসেবে চিবিয়ে খেতে পারেন ।

বিভিন্ন খাবারের সাথে মিশিয়ে: চিয়া সিড বিভিন্ন খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায় । চিয়া সিড হল স্বাদ গন্ধহীন একটি বীজ তাই এটি যে কোন খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায় এটি বিভিন্ন সালাতের সাথে মিশিয়ে, স্যান্ডউইচ বানিয়ে খাওয়া যায় ।
 
চিয়া পুডিং: চিয়া সিড পুডিং করে খাওয়া যায়।পুডিং করার জন্যএকটি পাত্রেপরিমান মতো দুধ,মধুও চিয়া সিডমিশাতে হবে।এর পর মিশ্রনটিতে পছন্দ মত ফল ,বদাম ছড়িয়ে দিতে হবে ।ত্রপর একে কয়েক ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিতে হবে।
 
অ্যানার্জি বল: চিয়া সিডে অনেক পুস্টি উপাদান থাকে ।চিয়াসিড দিয়ে অনেক খাবার করা যায়। চিয়া সিডের সাথে বাদাম, শুকনো ফল, ওটস, এবং আরো অন্যান্য উপাদান মিশিয়ে অ্যনার্জি বল তৈর িকরা হয়। এটি আপনি যেকোন সময় খেতে পারেন এমন কি সকালে ব্রেক ফ্রাস্ট হিসেবে খেতে পারেন।
 

গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা :


চিয়া সিড পুষ্টিকর খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম এবং জনপ্রিয় একটি খাবার বা সুপারফুড। চিয়া সিডের স্বাদ, গন্ধ নেই তাই এর পুষ্টি মাত্রা বাড়ানোর জন্য চিয়া সিড যেকোনো খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। চিয়া সিডের স্বাদ গন্ধ না থাকার কারণে গর্ভবতী মহিলারা সহজে যে কোন খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। চিয়া সিডের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই তবে গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে ডাক্তারদের পরামর্শ নিয়ে চিয়া সিড খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। 

ক্যালসিয়াম : চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম রয়েছেন। চিয়া সিডে প্রতি এক টেবিল চা চামচ চিয়া সিডে প্রায় ৭৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। যার কারণে গর্ভাবস্থায় চিয়া সিট খেলে শিশুর সঠিকভাবে হাড় এবং দাঁত বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

এন্টি অক্সিডেন্ট:  চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম হলো জিংক, সেলেনিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ । এগুলো এক একটি অপরিহার্য আন্টি অক্সিডেন্ট যা গর্ভাবস্থায় অনেক রোগের সংক্রমণ হ্রাস করতে সহায়তা করে যেমন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, এক্সমা, ব্রণ ,দুর্বল ইত্যাদি ।

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড: চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা গর্ভাবস্থায় খেলে শিশুর মধ্যে সঠিক মস্তিষ্কের বিকাশ বৃদ্ধিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গর্ভাবস্থায় অনেকের সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন না তারা সামুদ্রিক মাছের বিকল্প হিসাবে চিয়া সিড খেতে পারেন এতে অনেক উপকার পাবেন ।

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: চিয়া সিড রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহায়তা করে । গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।

ক্ষুধা দমনকারী: এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি গর্ববস্থায় খেলে গর্ভবতী মায়েদেরকে পেট অনেকক্ষণ ভরা রাখতে সাহায্য করে। ফলে চিয়া সিড  গর্ভাবস্থায় খেলে অপ্রয়োজনে ক্যালরি গ্রহণ রোধ করতে সাহায্য করে ।
 
কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ: গর্ভাবস্থায় দেখা যায় অনেক মেয়েদেরই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দেয় । চিয়া সিড এ প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে ইহা হজমে সাহায্য করে যার ফলে কোষ্ঠকাঠি রোগ সহজে দুর করা সম্ভব হয়।
 
ত্বক চুলও নখ: চিয়াসিড শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয় ফলে পেটে গ্যাসের সমস্যা দুর করে ভালো ঘুম হতে সহায়তা করে ।চিয়া সিড শরীরর ত্বক চুল ও নখ সুন্দর রাখতে ওসাহায্য করে। 
 
কোলেস্টেরল এর মাত্রা: গবেষকদের মতে, চিয়াসিড এ স্যালমন মাছের চেয়ে ৮ গুন বেশি  ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যার কারনে মানুষের  চিয়াসিড হদরোগের ঝুকি ও ক্ষতিকর কোলেস্টেরল মাত্রা সাহায্য করে।
 
প্রোটিনের চাহিদা: চিয়াসিডে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন রয়েছে ।পুষ্টিবিদদের মতে চিয়াসিডে মুরগির ডিম থেকে ৩ গুন বেশি উচ্চম্ত্রার প্রোটিন থাকে। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারি এবং প্রয়োজনীয়।
 
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা: চিয়াসিডে রয়েছে প্রচুর পরিমানে  ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্রিডেন্ট রয়েছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে শক্তিশালী করে।

গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা : 


চিয়া সিড অনেক পুষ্টিকর খাবার বা সুপার ফুড হিসেবে পরিচিত। প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে যে কারণে সকল ধরনের মানুষই চিয়া সিড খেয়ে থাকেন। যদিও  চিয়া সিড খুব একটা ক্ষতিকর না তারপরও চিকিৎসকের নিয়ম অনুসরণ করে গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড সেবন করা উচিত। যে কোন জিনিসের সুবিধা থাকলে এর কিছু অসুবিধা লক্ষ্য করা যায়। তাই গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খুব সতর্কভাবে সেবন করা উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা সমূহ 

১ । চিয়া সিড রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয় এবং সেই সাথে চিয়া সিড সেবন করলে দেখা যাচ্ছে যে রক্তে সরকারের মাত্রা কমে লোপেসারের সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে ।
 
২। কয়েক জন পুস্টিবিদ দ্বারা পরিচালিত পরিক্ষায় দেখা গেছে যে, চিয়াসিড  প্রোটেস্ট ক্যান্সার এবংস্তন ক্যান্সার কে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে । তাই এটি সিমিত পরিমানে খাওয়া উচিত ।

৩। চিয়া সিড রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করতে সহায়তা করে ফলে গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড সেবন করলে রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা থাকে।
 
৪। বেশি পরিমাণে চিয়া সিড সেবন করলে গর্ভকালীন সময় কিছু সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে যেমন ডায়রিয়া, কোস্টকাঠিণ্য এসব সমস্যাগুলো হতে পারে। 

৫। গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড সেবন করলে এলার্জি সমস্যা থাকলে অনেক সমস্যা হয় এলার্জি চোখ দিয়ে পানি পড়ে, চোখ চুলকায়, গা হাত পা চুলকায় ইত্যাদি।

চিয়া সিড এ প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন উপাদান এবং পুষ্টি সমৃদ্ধির জন্য এগুলি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য গ্রহণ করা উচিত। চিয়া সিড ডায়েটের সাথে অন্তর্ভুক্ত করার আগে একবার হল ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত কারণ আপনার জনমান ওষুধের সাথে সেগুলি কোনরকম নেকিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সবসময়ের মতন গর্ভাবস্থায়   দিনে এক থেকে দুইবার দুই চা চামচ চিয়া সিড সেবন করুন।

কিডনি ভালো রাখতে চিয়া সিড ভূমিকা: 

 
চিয়া সিড কিডনি ভাল রাখতে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে ।চিয়া সিডএ প্রচুর পরিমানে পুস্টিগুন থাকায় যে কোন সমস্যাতে ও খাওয়া যায়।সিয়া সিডে প্রচুর পরিমানে ফাইবার, ওমেগা-৩ফ্যাটি অ্যাসিড ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ,প্রোটিন,ম্যাগনেসিয়ামসহ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন উপাদান বিদ্যমান থাকে। যা আমাদের শরীরের জন্যেএমন কি কিডনির জন্য অনেক উপকারি চিয়াসিড স্বাস্থের জন্যঅনেক উপকারি। আমাদের শরীরের গুরুত্বপুর্ণ পুস্টি উপাদানের চাহিদা পুরন হয়ে যায প্রায় ১০০গ্রাম চিয়সিড থেকেই । তাই কিডনির সুস্বাস্থের জন্যআমরা চিয়াসিড খেতে পারি।

কিডনিপ্রদাহ কমায়: চিয়া সিড কিডনি রোগীর ক্ষেত্রে অনেক উপকারী আসে যে চিয়া সিড এ প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ও ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে আর এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের প্রবাহ কমাতে সাহায্য করে । কিডনি রোগের কারণে শরীরে প্রদাহ হতে পারে । চিয়া সিড প্রদাহ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে

কোষ্ঠকাঠিন্যে চিয়া সিড: চিয়া সিড অনেক পুষ্টিকর এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার । কিডনি রোগ হলে রোগীর কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দেয়। চিয়া সিড প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি হজম শক্তিতে সহায়তা করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে । ফলে কিডনি ভালো থাকে। 

কোষের ক্ষতিরোধ : অনেক সময় কিডনি রোগ হলে শরীরের কোষের ক্ষতি হতে পারে। চিয়া সিড শরীরের কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কেননা চিয়া সিড এপ্রচুরপরিমাণেএন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে আর এই এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোষের ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করে, ফলে কিডনি সুস্থ থাকে।
 
ওজন নিয়ন্ত্রণ চিয়া সিড:শরীরের ওজন কমাতে চিয়া সিডের উপকারিতা অনেক। দ্রুত ওজন কমাতে নিয়মিত ১ গ্লাস পানিতে ২ চা চামচ চিয়া সিড এবং সাথে ২ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেতে হবে তাহলে ভাল ফল পাওয়া যাবে।  চিয়া সিড ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কিডনি রোগ হলে রোগীদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ চিয়া সিড ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 
 

বাচ্চাদের চিয়া সিড খাওয়ার নিযম:

 
চিয়া সিডে প্রচুর পরিমানে পুস্টি উপাদান থাকে । তাই চিযা সিড বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্ব পূর্ন।বাচ্চারা কোন খাবারই খেতে চাই না আবার খেলেও বেশি পরিমানে খায় না । তাই বাচ্চাদের পর্যাপ্ত  পুস্টির জন্য চিয়া সিড খাওয়ানো যায়। বাচ্চাদের জন্য চিয়া সিড অনেক উপকারী । এটি অল্প পরিমানে খেলেও এর থেকে বাচ্চারা প্রচুর পরিমানে ক্যালরি ওপুস্টি পাবে। কারন চিয়া সিডে প্রচুর পরিমানে খাদ্যশক্তি, ক্যালসিয়াম প্রোটিন,ভিটামিন,আয়রন ইত্যাদি থাকে। চিযা সিড বাচ্চােদের একটি আদর্শ খাবার। বাচ্চাদেরকে বিভিন্ন খাবার যেমন-খিচুড়ি,সুজি সাবুদানা ইত্যাদিখাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।

ওজন কমাতে চিয়াসিডের ভুমিকা:

 
শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চিয়া সিড এর উপকারিতা অপরিসীম। রয়েছে উচ্চ ফাইবার যা হজম শক্তি নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে শরীরে ওজন কমাতে সহায়তা করেন। চিয়া সিড এর উপস্থিত উচ্চ ফাইবার দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরে রাখতে সহায়ক হয় ফলে যেকোনো অতিরিক্ত ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণে বাধা দেয় এই জন্য শরীরে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকেন। চিয়া সিডেএ থাকা দ্রবণীয় ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে ধীরগতি করে দেয় ফলে সহজেই ক্ষুধা লাগে না ।
 
চিয়া সিড এ থাকা ফাইবার এবং প্রোটিন রক্তের শর্করা মাত্রা স্বাভাবিক হতে সহায়তা করে। শুধু রয়েছে ওমেগা থ্রি এসিড প্রোটিন ও বিভিন্ন খনিজ পদার্থ যা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সহায়তা করে। চিয়া সিড ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সহ স্বাস্থ্য চর্বি রয়েছে এগুলো আপনার শরীরের কার্যকারিতা কে উন্নীত করে। ফলে চিয়া সিড খেলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে
 

ওজন কমাতে চিয়াসিড খাওয়ার নিয়ম:

 
ওজন কমাতে সিয়া সিড কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে পুষ্টিবিদ সৈয়দা শিরিনা স্মৃতি জানান, দ্রুত ওজন কমাতে খালি পেটে সকালে ও রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানির মধ্যে দুই চা চামচ চিয়া সিড ও ২ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। চিয়া সিড খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে এক গ্রাস পানিতে সাধারণ তাপমাত্রায় ভিজিয়ে রাখতে হবে তারপর খেয়ে ফেলতে হবে। আবার এটি রাত্রে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খাওয়া যায়।
 

উপসংহার: গর্ভাবস্থায় চিয়া সিট খাওয়ার নিয়ম

 
চিয়া সিড এ প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি  উপাদান থাকায় চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক এবং গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়া যায় এবং খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তবে গর্ভাবস্থায় চিয়া সিট খেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত। কেননা গর্ভাবস্থায় ওষুধের পাশাপাশি চিয়া সিড খেলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে কিনা সে বিষয়ে পরামর্শ নিয়ে চিয়া সিড খেতে হবে। সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত যে চিয়া সিড খেতে পারেন। চিয়া সিড বিভিন্ন অনলাইন শপ থেকে আবার ভালো কোন মুদির দোকান থেকে নিতে পারেন । তবে চিয়া সিড ক্রয় করার সময় দেখে নিতে হবে এর এক্সপায়ার্ড ডেট আছে কিনা।
 
এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকলে নিশ্চয় জানতে পেরেছেন চিয়া সিড সম্পর্কে, এর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং গর্ভাবস্থায় চিয়াসিড খাওয়ার নিয়ম সমূহ। পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে আমাদের সাথেই থাকুন।
 
 





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রয়েল; আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url